Cvoice24.com

ইপসার সভায় বিভাগীয় কমিশনার
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জরুরি

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জরুরি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। 

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ ও মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) এর সহায়তায় এই সভার আয়োজন করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা। 

বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-রাস্তাঘাট সবখানেই ধূমপান হচ্ছে। তবে এই জরিপের মাধ্যমে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের একটি পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, যা খুবই আশংকাজনক। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক বক্তৃতায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখতে মোবাইল কোর্টের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। কারণ মোবাইল কোর্ট করার মাধ্যমে জনমনে এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো দেশের মেধাবী লোকদেরকে উচ্চ বেতনে চাকরি প্রদানের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার পলিসি নির্ধারণ ও ব্যবসার প্রসার করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার, উন্নয়ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনকে তামাকমুক্ত করার জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করেন তিনি।  

চট্টগ্রাম শহরে হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাবলিক বাস ও সরকারি অফিসে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার’ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নের পরিস্থিতি যাচাইয়ে চলতি বছরের জুনে একটি জরিপ পরিচালনা করে ইপসা। জরিপের ফলাফলে উঠে আসে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের মারাত্মক চিত্র। জরিপের ফলাফল সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ও ফলাফল সংবলিত প্রকাশনা (ফ্যাক্টশিট) উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসনের সাথে এই সভার আয়োজন করে সংস্থাটি। 

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবস্থানটা জানতে পেরেছি। তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোগ গ্রহণ করতে এলজিআরডি ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে। 

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বলেন, এই জরিপে বিভিন্ন সরকারি অফিসে তামাক আইন ভঙ্গের চিত্র উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সব সরকারি অফিসকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন সার্কুলার জারি করবে। 

সভায় জরিপের ফলাফল সম্পর্কে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মু. ইনামুল হাছান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সিটিএফকের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আতাউর রহমান,  সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, সিভয়েস২৪.ডট কমের সম্পাদক এম নাসিরুল হক, ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল আজিজ, জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক মো. সাঈদ হোসেন, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদা বেগম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ, ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরো, এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের সদস্য কামরুল হুদা, সদস্য গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ সভাপতি এম এ ওয়াহেদ, ক্যাবের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, সপ্নীল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়