Cvoice24.com


‘‌টিআইএন ধারীকে রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করা হবে'

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
‘‌টিআইএন ধারীকে রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করা হবে'

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ধারী সবাইকে ফোন করে রিটার্ন দাখিলের জন্য বাধ্য করা হবে।

‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ -এ স্লোগানে এবারও ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ১০-১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন করবে এনবিআর।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৪৬ লাখ টিআইএন ধারী রয়েছে। তাদের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছে ২২ লাখ। যারা এখনও রিটার্ন দাখিল করেননি তাদেরকে কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফোন করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছরই আমরা ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। বিশ্বের কোনো দেশে কাস্টমস থেকে আহরিত শুল্কের পরিমান এত বেশি নয়। বাংলাদেশে মোট রাজস্বের ২৮ শতাংশ আসে কাস্টমস থেকে। যাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে। কিন্তু এর পরেও যখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় তখন আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা।

তিনি বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাময়িক রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। এরমধ্যে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ । ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ইনকাম ট্যাক্স আহরণের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে রিটার্ন দাখিল না করা প্রত্যেক টিআইএন ধারীকে ফোন দেবে। তাদেরকে রিটার্ন দাখিল করতে বলা হবে। আর যারা আয়কর দেয়ার যোগ্য তাদের করসহ রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করা হবে।

ইলেকট্রনিক্স ফিস্ক্যাল ডিভাইস সম্পর্কে তিনি বলেন, এই অর্থবছরের মধ্যে ৫০% ইএফডি মেশিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কারণ এই মেশিন আমদানি করতে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সময় লাগলেও ঘোষিত সকল পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হয়েছে। তারমধ্যে ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে ৭৮ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। যা মোটা আহরিত রাজস্বের ৩৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভ্যাট আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা যা মোট রাজস্বের ৩৬ ভাগ। বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন মোশাররফ হোসেন।

-সিভয়েস/এসসি

 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়