Cvoice24.com


লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী উসমান খানসহ নিহত ৩

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী উসমান খানসহ নিহত ৩

ফাইল ছবি

লন্ডন ব্রিজে শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। উসমান খান (২৮) নামের ওই সন্ত্রাসী আগে থেকেই সন্ত্রাসী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে জেলে ছিল। সে-ই শুক্রবার লন্ডন ব্রিজে ছুরিকাঘাত করে। এতে একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। 

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সে লন্ডন ব্রিজে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ তাকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যায় পুলিশ।

তারা সরাসরি গুলি করে উসমান খানকে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ ওই হামলাকে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে। বিবিসি, স্কাই নিউজ সহ বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিয়মিত আয়োজন স্থগিত করে সরাসরি সম্প্রচার করতে থাকে ওই ঘটনা। এতে দেখানো হয়, লন্ডন ব্রিজে যান ও জন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয়দের পুলিশের পরামর্শ নিয়ে চলাচল করতে বলা হয়।

বিবিসি বলছে, হামলাকারী উসমান খানকে আগে থেকেই চিনতো কর্তৃপক্ষ। সে ২০১২ সালে সন্ত্রাসী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিল। এ তথ্য দিয়েছেন মেট্রো পলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নেইল বসু। 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, লাইসেন্সের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল উসমানকে। কিভাবে সে শুক্রবারের ওই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। 

ওদিকে দ্য টাইমস রিপোর্ট করেছে, উসমান খান বৈদ্যুতিক একটি ডিভাইস পরে চলাচল করতে রাজি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর তাকে মুক্তি দেয়া হয় জেল থেকে। তাকে বৈদ্যুতিক ডিভাইস পরতে বলা হয়, যাতে তার চলাচলে নজরদারি করতে পারে পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ। উসমান খান বসবাস করতো স্ট্যাফোর্ডশায়ারে। সেখানে তার বাসভবনে তল্লাশি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। 
পুলিশ বলেছে, আমরা এখনও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে। তাই এর সঙ্গে অন্য কেউ সক্রিয়ভাবে জড়িত কিনা তা বলার সময় এখনও আসে নি।

উল্লেখ্য শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ২টার দিকে লন্ডন ব্রিজের উত্তর প্রান্তে ফিশমঙ্গারস হলের সামনে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। সেখানে বন্দিদের পুনর্বাসন বিষয়ক ‘লার্নিং টুগেদার’ শীর্ষক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কনফারেন্স চলছিল। ওই কনফারেন্সে উপস্থিত হয়েছিল হামলাকারী উসমান। উপস্থিত ছিল বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও সাবেক বন্দি।

পুলিশ কর্মকর্তা নেইল বসু বলেন, হামলাকারী লন্ডন ব্রিজে হামলার আগেই কনফারেন্স ভবনের ভিতর থেকেই তার উন্মত্ততা শুরু করে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে সশস্ত্র কর্মকর্তারা তার মুখোমুখি হয় এবং গুলি করে হত্যা করে তাকে। এরপরই ওই এলাকা ঘেরাও করে ফেলে মেট্রোপলিটন পুলিশ। স্থানীয়দের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়।

সিভয়েস/আই
 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়