কুতুপালংয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির হিড়িক
ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সর্বাপেক্ষা বড় ধরনের আশ্রয়স্থল উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের আনাচ কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে রকমারি ফার্মেসি বাণিজ্য।
এসব ফার্মেসি বিক্রেতা, চিকিৎসক, মালিক উভয় রোহিঙ্গা। এদের কাছ থেকে প্রশাসনের একটি সংস্থা মাসিক চুক্তিতে মাসোহারা আদায় করার ফলে এরা ব্যাপরোয়া চিকিৎসা বাণিজ্য চালাচ্ছে।
কুতুপালং ক্যাম্পে অত্যাধুনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হোাপ ফাউন্ডেশন দাবি করছেন, রোহিঙ্গারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণে ও মেয়াদ উর্ত্তীন ঔষুদ বিক্রির ফলে অশিক্ষায় কুশিক্ষায় জর্জরিত রোহিঙ্গারা শারীরিক দিক দিয়ে আরও অবনতি হচ্ছে।
কুতুপালং স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক চিকিৎসক ডাক্তার অজিত বড়ুয়া জানান, অধিকাংশ রোহিঙ্গা তাদের অভিযোগ করে বলছেন, রোহিঙ্গা চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে এবং তাদের ঔষুধ সেবন করে রোগ নিরাময়ে তা হয়নি উপরন্ত বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে দীর্ঘদিন তাকে কষ্ট পেতে হয়েছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ম্যানেজম্যাট কমিটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ নুর জানান, এখানে এসে যেসব রোহিঙ্গারা চিকিৎসার নামে ফার্মেসী দিয়ে বসেছে মুলত তারা চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। মিয়ানমারে থাকাকালীন প্রত্যক্ষভাবে পরিক্ষিত বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গা চিকিৎসকেরা রোগীদের পাওয়া মাত্র তার অসুখের বিবরণ না শুনে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়।
এটা কি ধরনের ইনজেকশন জানতে চাওয়া হলে মো: নুর জানান, এটা ভিটামিন জাতীয় একটি ইনজেকশন যা শরীরে কোনো ক্ষতি করে না।
-সিভয়েস/এসসি
উখিয়া প্রতিনিধি :
