Cvoice24.com


পেকুয়ায় বিয়ে প্রত্যাখ্যান করায় মাদ্রাসাছাত্রী খুন

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২২ নভেম্বর ২০১৯
পেকুয়ায় বিয়ে প্রত্যাখ্যান করায় মাদ্রাসাছাত্রী  খুন

অভিযুক্ত ওমর ফারুক

পেকুয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নবম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মগনামা ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ সড়কের পাশ থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, মাদ্রাসাছাত্রীর চোখ দুটি উপড়ে ফেলা হয়েছে। বাম কান কেটে ফেলেছে। বুকেও ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। সন্ধ্যায় বাড়িতে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুঁজির পর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন শুক্রবার সকালে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়।

নিহতের নাম, আয়েশা (১৭)। সে ফহেত আলী মাতবর পাড়ার জামাল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের বাবা জামাল হোসেন বলেন, ‘একই ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে আমার মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এব্যাপারে আমাদের মৌন সম্মতিও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওমর ফারুকের ভাই মোঃ মানিক এক শিশুকে খুন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সেসময় আমি তাদের পরিবারে মেয়ে বিয়ে দেব বলে জানিয়ে দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে মাদ্রাসায় যাবার পথে অপহরণ করে ওমর ফারুক। অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আমার মেয়েকে খুন করে সে। পরে তার লাশ গুমের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বস্তায় ভরে সড়কের পাশে ফেলে যায়। আমি আমার মেয়ের খুনি ওমর ফারুক ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

মগনামা শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদ নুর রশিদ বলেন, ‘আয়েশা আমার মাদ্রাসার নবম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। তবে সে বৃহষ্পতিবার মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিল।’

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তারপরেও ঘটনা সর্ম্পকে জানতে তার দুই চাচীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।’

-সিভয়েস/এসসি

 

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি :

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়