Cvoice24.com


সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে চসিক’র নানা উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ২১ নভেম্বর ২০১৯
সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে চসিক’র নানা উদ্যোগ

ফাইল ছবি

সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবহৃত নিজস্ব মোটরযানের ক্ষেত্রেও সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সড়ক পরিবহন আইন মেনে নিজস্ব মোটরযানগুলো ব্যবহারে করনীয় নির্ধারণ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, চসিকে ব্যবহৃত যেসব মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নেই সেগুলো রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)'র সাথে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে নিজস্ব চালকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে চসিক। 

চসিক প্রকৌশল বিভাগ যান্ত্রিক শাখা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব গাড়ির সংখ্যা মোট ৯'শ ২ টি। এর মধ্যে ১’শ ৫৫টি অচল অবস্থায় আছে। বাকি ৭’শ ৪৭টি মোটর যান সক্রিয় অবস্থায় নগরসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরযানের সংখ্যা ২’শটি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৫৫টি টমটম। 

সড়ক আইন বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে আমাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিনের অচলায়নের কারণে সড়কে নানামুখী সমস্যা প্রকট আকার রূপ নিয়েছে। সরকার এখন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একথা সত্য সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত মোটরযানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরকে সংশোধিত করার পাশাপাশি নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত মোটরযানের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রয়োগে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ ব্যাপারে বিআরটিএ'র সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। 

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল সোহেল আহমেদ জানান, আমাদের চালকদের নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চালকদের স্বল্পতা পূরণে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ড্রাইভার নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের। রেজিস্ট্রেশন বিহীন গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিআরটিএ'র সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। 

চসিকের প্রকৌশল বিভাগীয় যান্ত্রিক শাখা প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বলেন,  চসিকে লাইসেন্স বিহীন কোনো চালক দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। নিয়োগের শর্তে লাইসেন্স কপি যুক্ত করা আবশ্যক। তাছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা লাইসেন্সের সত্যতা নিরুপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে ও তথ্য সংগ্রহ করি। চালকদেরকে ট্রেনিংয়ের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। কর্পোরেশনের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের চালক স্বল্পতা আছে। তা পূরণে অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী  কিছু ড্রাইভার নিয়োগের ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

সিভয়েস/-

উজ্জ্বল দত্ত 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়