Cvoice24.com


সেই ছাত্রলীগ নেতা রানার দায়িত্ব নিলেন এলিট

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২১ নভেম্বর ২০১৯
সেই ছাত্রলীগ নেতা রানার দায়িত্ব নিলেন এলিট

মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ছিল গত ১৬ নভেম্বর। সম্মেলনে আসা এক মলিন মুখের ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

তিনি একসময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানা। মিরসরাই থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য। ১৯৯০ দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন রানা।

মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে তার বাড়ি। সংসারে তিন ছেলে, তিন মেয়ে। সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। নিদারুণ অর্থকষ্ট নিয়ে দিন যাপন করছেন।

এ অবস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনি বলেন, এখন থেকে আমি মোতাহার হোসেন রানার দায়িত্ব নিলাম। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ, তার চিকিৎসা খরচসহ প্রতি মাসে সম্মানী দেবো। যা তার ব্যক্তিগত হিসাবে জমা হবে। রানা ভাইয়ের বাড়িটিও আমি সংস্কার করে দেবো  এবং একটি পাকা বাড়ি করে দেবো।

তিনি বলেন, গত মে মাসেই সাবেক ছাত্রনেতা রানা ভাইয়ের এ দূরবস্থার কথা জানতে পারি। খবর পেয়ে কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সভাপতি আছিফ রহমান শাহীনকে সাথে নিয়ে তাকে দেখতে যাই। তখন খোঁজ খবর নিয়ে তাঁকে সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেই। পরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে তাদের আশ্বাসে রানা ভাইকে দিয়ে একটি আবেদন করাই। শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি সুুখবর আসবে বলেও জানান তিনি।
  
এসময় সাবেক এই নেতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া তিনি যেন সমাজের একজন আইকন হিসাবে বেচেঁ থাকতে পারেন সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিয়াজ মোরশেদ এলিট বলেন, আমি একজন সমাজ সেবক হিসেবে ২০১২ সাল থেকে মিরসরাইতে কাজ করছি। মিরসরাইবাসির সাথে দীর্ঘদিন কাজ করতে গিয়ে আমি মোতাহার হোসেন রানা ভাইসহ আরোও বেশ কিছু আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারিদের খবর পাই। যারা সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন। 

তিনি বলেন, এসব নেতারা আওয়ামী লীগের জন্য এমন সব ত্যাগ স্বীকার করেছেন যা বর্তমানে খুবই বিরল। কিন্তু দল থেকে মূল্যায়ন না পাওয়ায় বিভিন্ন কষ্টে দিন কাটছে তাদের। তাই ২০১৮ সালে ১৫ জুন রমজানের ঈদের সময় আমি এলাকার বিভিন্ন ত্যাগী নেতাদের খুশি করতে তালিকা করে তাদের জন্য আর্থিক সহযোগিতাসহ ঈদ উপহার পাঠাই। তাদের জন্য সামান্য কিছু করতে পেরে আমি অনেক তৃপ্তি পেয়েছিলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু তৎকালীন মন্ত্রী মহোদয় আমার এই কাজকে সহ্য করতে পারেননি। তিনি এসব সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া আমার কর্মীদের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকেন। এছাড়া তাদের উপর হামলা, মামলাসহ মাদক কারবারি হিসেবে অপপ্রচার চালান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা সাবেক ছাত্রনেতা মোতাহের হোসেন রানা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে সামান্য একটি ভাতা পান। তবে সেই ভাতা দিয়ে তিনি তার কলেজ পড়–য়া সন্তানসহ পরিবারের ৭ সদস্যের ভরণ পোষণ চালাতে ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছেন। তাই এমন অবস্থার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী যেন তাকে এককালীন সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেন এমনটাই আশা তার।

-সিভয়েস/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়