Cvoice24.com


চলছে পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট, বাধা গণপরিবহনে!

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২০ নভেম্বর ২০১৯
চলছে পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট, বাধা গণপরিবহনে!

ছবি : সিভয়েস

সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটকে ঘিরে সকল ধরণের ট্রাক, লরি ও টেইলার চালানো বন্ধ থাকার কথা থাকলেও শ্রমিকরা গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাধা প্রদান করছেন।

একইসাথে অনেক গণপরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়াসহ প্রাইভেট কারগুলোকে হুমকিও প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরীর ঈদগাহ কাঁচা রাস্তার মাথা ও হালিশহর বড়পোলসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ফলে গাড়ি না পেয়ে যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাস চালক সিভয়েসকে বলেন, সকালে বাস নিয়ে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে বাস চালানো যাবে না বলে ঘোষণা করে। এসময় বাসে থাকা যাত্রীদেরও নামিয়ে দেয় তারা এবং বাস না চালাতে আমাদেরকে বাধ্য করছে। না হয় অবস্থা খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

মোরশেদ নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে সিভয়েসকে বলেন, কয়েকদিন পরপরই কোনো ইস্যু পেলেই সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে অস্থিরতা তৈরি করে। সরকারও কোনো ভাবে এদেরকে দমাতে পারছে না। আর তাই আমাদের সাধারণ যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ শুধুমাত্র পণ্য পরিবহণ শ্রমিকদের ধর্মঘট থাকলেও তারা গণপরিবহণগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে। যাত্রীদের বাস থেকেও নামিয়ে দিচ্ছে। তাই সঠিক সময়ে অফিসে যেতে পারি নাই।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলের (সিলেট-চট্টগ্রাম) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিভয়েসকে বলেন, আমাদের সংগঠনটি সকল পরিবহন শ্রমিকদের জন্য কাজ করে। তাই আজ শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের চলা ধর্মঘটেও আমাদের সমর্থন রয়েছে। তবে গণপরিবহণ চলাচলে বাধা দেয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই।

তিনি বলেন, কিছু উৎসুক শ্রমিক এমন কাজ করছে। আমরা তাদেরকে গণপরিবহন চলাচলে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

সড়ক আইনটি বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান থেকে বাস্তবসম্মত নয় বলে এর সংশোধন দাবি করে এ শ্রমিক নেতা বলেন, যেখানে আমাদের দেশের মন্ত্রী হতে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নেই সেখানে ড্রাইভারদের লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হচ্ছে। এটি বাতিল করতে হবে। এছাড়া নো পার্কিং করার আগে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে আইন করা হয়েছে। আর কোনো শুনানি ছাড়া আইনটি করা কোনোভাবে বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।

তিনি আরও  বলেন, যেখানে আমাদের দেশের পথচারিরা রাস্তা পারাপার শিখতে পারে নাই, সেখানে আইন করে সড়কের দূর্ঘটনাগুলোকে নর হত্যার সাথে তুলনা করা হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে সিগন্যাল বাতিগুলোও ঠিক নাই। তাই আমরা মহাসড়কগুলোকে চার লেন থেকে আট লেন করার দাবিসহ আইনটি সংশোধন করার দাবি জানাচ্ছি।

-সিভয়েস/এএফ/এএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়