Cvoice24.com


কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে টোকেন ফি'র নামে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে টোকেন ফি'র নামে চাঁদাবাজি

ছবি: সিভয়েস

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছবাহী গাড়ি থেকে টোকেন ফি'র নামে চলছে চাঁদাবাজি। ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী ও চালকদের অভিযোগ, কোন ধরনের রশিদ ছাড়াই শুধু  গায়ের জোরে দৈনিক দুই শতাধিক টমটম (অটোরিকশা) সহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছে কক্সবাজার জেলা পিক-আপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর লোকজন। 

দীর্ঘদিন এই দুর্নীতি চলতে থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শৃংখলা দিন দিন অবনতি হচ্ছে বলে জানান সচেতন মহল।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে  গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার জেলা পিক-আপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে মাছবাহী টমটম, পিকআপ এবং ট্রাকপ্রতি টাকা নিচ্ছে কয়েকজন যুবক। তার মধ্যে ট্রাক ও পিকআপ পরিবহন চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে রশিদ দিচ্ছে। কিন্তু মাছবাহী টমটম চালকদের কাছ থেকে টাকা নিলেও রশিদ দিচ্ছে না। এতে চরম বিরক্ত ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও গাড়িচালকরা। 

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পিক-আপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের ম্যানেজার মোরশেদ জানান, রেজিস্টারভুক্ত সংগঠন ‘কক্সবাজার জেলা ট্রাক, পিকআপ ও মিনি ট্রাক পরিবহন সংস্থার' এর উদ্যোগে ফিশারিঘাট থেকে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া মাছবাহী ট্রাক থেকে নির্ধারিত  ফি নেওয়া হয়। রশিদের মাধ্যমে এই ফি গ্রহণ করা হয়।

চট্টগ্রামগামী ট্রাক থেকে নেওয়া হয় ২৩০ টাকা। ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোলসহ অন্যান্য জায়গায় নেওয়া হয় ৩৩০ টাকা। ২০০-৩০০ টাকার সাথে ৩০ টাকা অতিরিক্ত যুক্ত করার কারণ হল সমিতির সদস্যদের কল্যাণ তহবিলের জন্য।

কিন্তু দৈনিক দুই শতাধিক টমটম থেকে ২০ টাকা করে নেওয়ার বৈধতা কি জানতে চাইলে তিনি পরিষ্কারভাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, টমটম থেকে যে টাকা নেওয়া হয় তা কর্মচারীদের খরচে ব্যবহার করা হয়।

টমটম চালকদের রশিদ দেওয়া হয় না কেন, এমন প্রশ্নেও কোন উত্তর দিতে পারেনি। বরং এই প্রসঙ্গ কাটিয়ে বলেন টাকাটা জোর করে নেওয়া হয় না।
কিন্তু খবর নিয়ে জানা যায়, রশিদবিহীন এই টাকা নেওয়া হয় জোর করে। এই ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করা হলে তাকে হেনস্থা করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর  ধরে ফিশারির ঘাটে ব্যবসা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফিশারিঘাটে ‌‌'জোর যার মল্লুক তার' এই নীতি চলছে। তারই একটি অংশ হচ্ছে টমটম চালকসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা। এই অনিয়মই রীতিমত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও নীরব রয়েছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসানুল হক জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

সিভয়েস/আই


 

ওমর ফারুক হিরু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়