Cvoice24.com


কক্সবাজারে মৎস অবতরণ কেন্দ্রে চলছে টোকেন ফি নামে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
কক্সবাজারে মৎস অবতরণ কেন্দ্রে চলছে টোকেন ফি নামে চাঁদাবাজি

ছবি : সিভয়েস

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছবাহী গাড়ি থেকে টোকেন ফি‘র নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মাছব্যবসায়ী ও চালকদের অভিযোগ কোনো ধরণের রশিদ ছাড়াই শুধু মাত্র গায়ের জোরে‘ই দৈনিক দু‘শতাধিক টমটম (অটোরিক্সা) সহ বিভিন্ন পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা পিকআপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতির লোকজন।

দীর্ঘদিন এই দূর্নীতি চলতে থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। এতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শৃঙ্খলা দিনদিন অবনতি হচ্ছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার জেলা পিকআপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে মাছবাহী টমটম, পিকআপ এবং ট্রাক প্রতি টাকা নিচ্ছে কয়েক যুবক। তারমধ্যে ট্রাক ও পিকআপ পরিবহণ চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে রশিদ দিচ্ছে। কিন্তু মাছবাহী টমটম চালকদের কাছ থেকে টাকা নিলেও রশিদ দিচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পিকআপ ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতির ম্যানেজার মোরশেদ জানান, রেজিষ্ট্রাটভুক্ত সংগঠন ‘কক্সবাজার জেলা ট্রাক, পিকআপ ও মিনি ট্রাক পরিবহণ সংস্থার‘ এর উদ্যোগে ফিসারিঘাট থেকে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও বেনাপুলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া মাছবাহী ট্রাক থেকে নির্ধারিত মূল্যের ফি নেওয়া হয়। রশিদের মাধ্যমে এই ফি গ্রহণ করা হয়। চট্টগ্রামগামী ট্রাক থেকে নেওয়া হয় ২৩০ টাকা। ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোলসহ অন্যান্য জায়গায় নেওয়া হয় ৩৩০ টাকা। ২০০-৩০০ টাকার সাথে ৩০ টাকা অতিরিক্ত যুক্ত করার কারণ হল সমিতি‘র সদস্যদের কল্যাণ তহবিলের জন্য।

কিন্তু দৈনিক দুই শতাধিক টমটম থেকে ২০ টাকা করে নেওয়ার বৈধতা কি জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু জানাননি।

টমটম চালকদের রশিদ দেওয়া হয়না কেন, এমন প্রশ্নেও কোনো উত্তর দিতে পারেনি। বরং এই প্রসঙ্গ কাটিয়ে বলেন, টাকাটা জোর করে নেওয়া হয়না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রশিদবিহীন এই টাকা নেওয়া হয় জোর করে। এই ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হেনস্থা করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর  ধরে ফিসারীঘাটে ব্যবসা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফিসারীঘাটে জোর যার মল্লুক তার এই নীতি চলছে। তার‘ই একটি অংশ হচ্ছে টমটম চালকসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায়। এই অনিয়ম‘ই রীতিমত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও নীরব রয়েছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইসানুল হক জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

-সিভয়েস/এসসি

 

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়