Cvoice24.com


লামায় সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
লামায় সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা

ছবি : সিভয়েস

লামায় অসহায় কৃষকের পাহাড়ি জমিতে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. ওসমানের পক্ষে তার বড়বোন ফাতেমা বেগম (৪২) বাদি হয়ে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন লামা কোর্টের বাদিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাফর আলম।

মামলার সূত্রে জানা যায়, কৃষক মো. ওসমান ২৯৫নং লামা মৌজার আর/৯১নং হোল্ডিং এর আন্দর পাঁচ একর ৩য় শ্রেণির পাহাড়ি জমি গাছপালাসহ ক্রয় করে বিগত ৪ বছর যাবৎ ভোগদখলে রয়েছে।

গত ২৯ আগষ্ট ১৯ইং তারিখে রেজিষ্টার্ড বায়নানামা দলিল নং- ৩৯৯/২০১৯ সম্পাদন করেন। ক্রেতা ওসমান জমি ক্রয়ের পর থেকে বহু অর্থ ও শ্রম ব্যয়ে জঙ্গল পরিষ্কার, গাছ লাগিয়ে ও খামার বাড়ি নির্মাণ করে।

এদিকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক সোহরাব হোসেন জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে গত ১৬ নভেম্বর ১৯ইং শনিবার দুপুর ১২টায় নুরুজ্জামান ও আব্দু রহমানসহ আরো ৩০/৪০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসি হামলা চালায়। হামলাকারীরা খামার বাড়ি ভেঙ্গে সম্পূর্ণ মালামাল কাঁধে বোঝাই করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদি ফাতেমা বেগম বলেন, আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ বহিরাগত সন্ত্রাসি নিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা, গদু দা, কোদাল, খন্তা, লোহার রড, লাঠি-সোঠা নিয়ে আমার বোন জামাতার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা লুটপাট চালায়। আমার শরীরের সর্বাঙ্গে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে আহত করেছে। আমাকে উদ্ধার করতে আমার ভাই আশেকুর রহমান ও ইছহাক মিয়া আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের মেরে রক্তাক্ত করে। পরে লামা থানা পুলিশ এসে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে।

মামলার আসামি সোহরাব হোসেন বলেন, এই জায়গার বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেয়া আছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিরোধ মীমাংসার কথা ছিল। তার আগে শুক্রবার তারা বিরোধীয় জায়গায় খামার ঘর তৈরি করে বাদিপক্ষ। তাই আমরা শনিবার সে খামার ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছি।

হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, এই বিষয়ে উভয় পক্ষ মামলা করেছে বলে শুনেছি।

হামলাকালীন সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, লামা থানা পুলিশের এএসআই রাম প্রসাদ দাশ। তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে দুইপক্ষ থানায় ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে।  

-সিভয়েস/এসসি

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়