বিস্ফোরণে তছনছ মঞ্জু মিয়ার জীবিকার চাকা
ছবি : সিভয়েস
২০ বছর ধরে ৪ তলা বিশিষ্ট বাদশা মিয়া ভবনের নিচে চা আর পান বিক্রি করতেন মো. মঞ্জুর হোসেন (৫০)। ভবনটির নিচতলায় জনতা ফার্মেসীর পাশেই বসে ব্যবসা করতেন তিনি।
কিন্তু রোববার (১৭ নভেম্বর) নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের ৫ তলা বিশিষ্ট বড়ুয়া ভবনে গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে মঞ্জু মিয়ার জীবিকার চাকা।
এ সময় দোকান ভেঙ্গে নিচেই চাপা পড়েন তিনি। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও দুটি হাত আর পায়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ফার্মেসীতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় তাকে।
বর্তমানে পার্শ্ববর্তী একটি গলিতে বৃদ্ধা মা, সহধর্মীনী আর ৩ ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। তিন ছেলের মধ্যে আরাফাত হোসেন নগরীর নোমান কলেজে অনার্সে, মেঝ ছেলে আমজাদ হোসেন সোবহানিয়া মাদ্রাসার নবম জামাতে পড়ছে। এছাড়া ছোট ছেলে আবির তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে বলে জানা গেছে।
তবে বিস্ফোরণে সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারকে নিয়ে দুশ্চিন্তা আর হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি সিভয়েস প্রতিবেদককে বলেন, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার দোকানটি তছনছ হয়ে গেছে। বিকট একটা আওয়াজে পর মূহুর্তেই আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, তখন আমি দোকানের ভেতর ছিলাম। বিস্ফোরণে দোকান ভেঙ্গে আমি তার নিচে চাপা পড়ে যাই। পরে লোকজন এসে আমাকে বের করে। সামনে গিয়ে দেখি সিড়ির পাশে রিকশার ড্রাইভার আর আরেকজন যাত্রীকে পড়ে আছে। এছাড়া একজন মা আর আরেকটা শিশু সহ আমার চোখের সামনেই ৭টি দেহ পড়ে থাকতে দেখি।
তিনি আরও বলেন, আমার দোকানটিই ছিল পরিবার চালানোর একমাত্র পথ। বিস্ফোরণে দোকানে থাকা ৩০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এটিই আমার সম্বল ছিল।
-সিভয়েস/এসসি
ফয়সাল আব্দুল্লাহ