Cvoice24.com


জামিনে এসে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আ.লীগ সভাপতি

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
জামিনে এসে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আ.লীগ সভাপতি

কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী হাম জালালকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামলী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়।

হাম জালালের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় শীর্ষে থাকা জালাল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিবপাড়ার হাজী খলিলুর রহমানের ছেলে।

এবছরের ২৬ জানুয়ারি ৩হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো হাম জালাল। এর আগে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা নেয়ার সময় লোহাগাড়ায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ধরা পড়ে শীর্ষ এ ইয়াবা ব্যবসায়ী।

এছাড়া মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তার ছোট ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী বাহাদুর নিহত হয়েছে। শীর্ষ এই ইয়াবা ব্যবসায়ী কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়। ইয়াবা সহ জামিনে এসে আওয়ামী লীগের সভাপতি বনে যায় এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। অথচ কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী বা বিতর্কিত ব্যাক্তিকে আওয়ামী লীগের কোন পদে না আনার নির্দেশনা দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে টেকনাফের আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, হাম জালালকে কাউন্সিলে প্রার্থী হতে না দিতে জেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশনা ছিলো। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল বশর জেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অমান্য করে হাম জালালকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ঘোষনা করে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল বশরের কারনেই হাম জালাল আওয়ামীলীগের সভাপতি হতে পেরেছে।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, হাম জালালের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার সু নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদককে একাধিকবার জানানো হয়েছিলে। বার বার নিষেধ করার পরও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে হাম জালালকে উপজেলা সাধারন সম্পাদক নুরুল বশর সভাপতি ঘোষনা করার বিষয়টি দুঃখ জনক।

উল্লেখ্য, সম্মেলন চলাকালেই জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে হাম জালালকে বাদ দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর কেন্দ্র বা জেলা আওয়ামী লীগের কোন নির্দেশ মানেনি। তাই সম্মেলনে উপস্থিত জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা কাউন্সিল না করেই চলে আসেন। 

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, হাম জালাল দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ করছেন। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হাম জালালের বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ ও মামলা নেই। কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীদের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, হাম জালাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারী ৩ হাজার ইয়াবা সহ টেকনাফ থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হাম জালাল। তার পুরো পরিবার এই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। কিছুদিন আগে জামিনে এসে হাম জালাল আবারও ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য আছে। হাম জালালকে আটক করার চেষ্টা করছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

সিভয়েস/এএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়