শ্রম ও সাধনা সার্থক হয়েছে: ড. মাহবুবুল হক
পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরীকে মূল্যায়ন করার কথা উল্লেখ করে শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক ড. মাহবুবুল হক বলেছেন, পুঁথি ও লোকসাহিত্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আবদুস সাত্তার চৌধুরীর অবদান অসামান্য। জাতীয় ঐতিহ্যের লালন ও পুনরুদ্ধারে তার শ্রম ও সাধনা সার্থক হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কদম মোবারক বাইলেনস্থ একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মাহবুবুল হক বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও আশুতোষ চৌধুরীর পরে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পাদন করেছেন। তার সংগৃহীত পুঁথি ও লোকসাহিত্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ হয়েছে। তার সংগৃহীত পুঁথির তালিকা নিয়ে একটা দীর্ঘ রচনা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পাণ্ডুলিপি’ পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলাম। সেটি জন্মশতবর্ষকে উপলক্ষ করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা গেলে এ প্রজম্মের পাঠক একটা ধারণা পেতে পারেন।
আলোচনা করেন আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম, সরকারি মহসিন কলেজের অধ্যাপক ড. ইলু ইলিয়াস, শিল্পশৈলী সম্পাদক নেছার আহমদ, মরহুমের ছেলে পুঁথি গবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, মরহুমের নাতি ব্যাংকার মোহাম্মদ ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কবি রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে এবং একাডেমির মহাপরিচালক অরুণ শীলের সঞ্চালনায় সাত্তার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান গল্পকার জিন্নাহ চৌধুরী, দীপক বড়ুয়া, বিপুল বড়ুয়া, সংগঠক মো. জাহাঙ্গীর মিঞা, লেখক এসএম আবদুল আজিজ, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, মিলন বনিক, আবুল কালাম বেলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে দীপক বড়ুয়ার সম্পাদনায় ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। এতে লিখেছেন ড. ইলু ইলিয়াস, আহমদ মমতাজ, নেছার আহমদ, শিবুকান্তি দাশ, ইসমাইল জসীম প্রমুখ।
-সিভয়েস/এমএম/এএস
সিভয়েস প্রতিবেদক
