Cvoice24.com


সাতকানিয়ায় অধিক ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
সাতকানিয়ায় অধিক ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

সাতকানিয়ায় আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে আমনের অধিক ফলনেও সাতকানিয়া উপজেলার কৃষকদের মুখে হাসি নেই। ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকের হতাশার কারণ। জমিতে আমন ধানের ভালো ফলন হলেও ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকের তৃপ্তির হাসি মলিন হয়ে গেছে।

সাতকানিয়া উপজেলায় অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর অনেক আগেই আমন ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

সরেজমিনে জানা যায়, সাতকানিয়ার ১টি পৌরসভা ও  ১৭ ইউনিয়নের জমিতে সোনালি ধানে ভরে গেছে। মাঠে পাকা ও আধাপাকা ধান হাওয়ায় দুলছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর জমিতে তারা কালোজিরা, পাইজাম, বিনা ৭, ১৭ ও ২০, হাইব্রীড, ব্রিধান-৭২, ৪০, ৩৩, ৪১, ৪৯ ও ৫২, বিআর-১১, ১০, ২২ ও ২৩, বিনি জাতের ধান, ধানী গোল্ড, তেজ ও এজেড জাতের ধান রোপন করেছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় তারা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারাও বললেন একই কথা। তারা বলছেন, ধানের বাজার দর সবসময় একই থাকেনা। কখনো বাড়ে, কখনো কমে। তবে সরকার নায্য মূল্যে ধান কেনার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষকরা খুব একটা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।

উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কালামিয়া পাড়ার আমন ধান চাষী মোহাম্মদ নুরুল কবির, বোর্ড অফিস এলাকার আইয়ুব, আহমদ হোসেন, সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকার মহি উদ্দিন, হাতিয়ারকুলের আবু তাহের ও মো.ইউনুচ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা জমিতে বিআর, ব্রী, হাইব্রীড জাতের ধানসহ অন্যান্য ধানও রোপন করেছেন। কৃষকের পরামর্শ মতো সারিবদ্ধভাবে ধান রোপন করে তারা অধিক ফলন পেয়েছেন। তবে ধানের বাজার দও কম হওয়ায় অধিক ফসলেও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। বরং ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

সাতকানিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭ টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপনের অর্জিত লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১শ’ হেক্টর। তৎমধ্যে স্থানীয় ২শ’ ৫০ হেক্টর, হাইব্রীড ৬শ’ হেক্টর এবং উপসী ১১ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর। ইতিমধ্যে আনুমানিক ৫ থেকে ৭ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম জহির জানান, আমন ধান কাটার সময় এখনও পুরোপুরি আসেনি আরো কিছুদিন বাকি রয়েছে। তারপরও সাতকানিয়ায় তুলনামূলকভাবে আগেই কাটা শুরু হয়েছে। এ মৌসূমে একটু আগেভাগেই ধান পরিপক্ক হয়েছে। 

ধানের বাজার দর কম হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সবসময় তো আর বাজার দর এক থাকে না, দাম বাড়তেও পারে। তাছাড়া সময়তো এখনো হাতে আছে হয়তো সরকারি গুদামে ন্যায্যমুল্যে ধান কেনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কৃষকরা খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে হয় না। 

সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, যে সমস্ত আমন চাষীরা একটু আগে ধান লাগাতে পেরেছেন তারা হয়তো একটু আগেই ফলন পেয়েছেন। এছাড়াও যাদের জমিগুলো একটু উচু জায়গায় ছিল বন্যার পানি পৌঁছাতে পারেনি এসব চাষীদের সব ধান পেকে গেছে কাটতে শুরু করেছেন। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে মাঠের সব ধান কাটতে পারবে। 

সিভয়েস/এএস

জাহেদ হোসাইন, সাতকানিয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়