খাতুনগঞ্জে দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
সকাল থেকে বিকেল না গড়াতে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত মিশরের পেঁয়াজ কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় ও চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-৪০ টাকায় । তবে সকালের দিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪০-৫০ টাকা। একইভাবে মিশরের পেঁয়াজও ১৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, বাজারে ক্রেতার চাহিদা প্রচুর। তবে সে অনুযায়ী ২০ ভাগ পেঁয়াজও বাজারে নেই। তাই প্রতিনিয়তই দাম বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আশা পেঁয়াজগুলোও এ বাজারে তেমন আসছেনা। বরং সেখান থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজেই অন্যান্য জেলায় চলে যাচ্ছে। এছাড়া টেকনাফ স্থলবন্দর থেকেও এখানে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম পেঁয়াজ আসছে। তাই যতোদিন পেঁয়াজের বড় কোনো চালান না আসবে, ততোদিন দাম বাড়তেই থাকবে।
এ ব্যবসায়ী জানান, টেকনাফ থেকে গতকাল বুধবার মাত্র ৭টি ট্রাক (১৩-১৪ টনের) মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারে ঢুকেছিলো। তবে বৃহস্পতিবার ১৫-১৬টি ট্রাক (১৩-১৪ টনের) ঢুকেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চীনা ও মিসরের মাত্র ৩-৪টি ট্রাক (৭-৮ টনের) ঢুকেছে।
মোহাম্মদ ইদ্রিস আরও জানান, এখন বাজারে মাল মজুদ করে রাখার অবস্থা নেই। সর্বোচ্চ ২-৩ দিন পর্যন্ত রাখা যাচ্ছে। কারণ মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশের পেঁয়াজগুলোর মান খুব কম। এছাড়া প্রতিনিয়তই ৩-৪ জনের হাতবদলে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
-সিভয়েস/এএফ/এএস
সিভয়েস প্রতিবেদক