Cvoice24.com


বাঁশখালীতে ব্যবসার নামে কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক উধাও

প্রকাশিত: ০৮:০১, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
বাঁশখালীতে ব্যবসার নামে কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক উধাও

ছবি: সিভয়েস

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রেন্ট-এ কার পার্টনারশিপ ব্যবসার লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা নিয়ে সপরিবারে উধাও হয়েছে মো. নাছির নামের এক প্রতারক। 
প্রায় এক মাস যাবৎ নাছিরের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। পরে তার বাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেখানে পরিবারের সদস্যরাও নেই ।

জানা যায়, বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রেন্ট এ কার ব্যবসা ও ইট দেওয়ার কথা বলে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে  প্রতারক । তিনি প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকার অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাইরে পাড়ি দিয়েছে। এ অবস্থায়  বিপুল পরিমাণ গচ্ছিত টাকা উদ্ধার নিয়ে চরম আতঙ্কে ভুগছেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।

এই প্রতারক কয়েকজন ব্যবসায়ীকে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করার কৌশল অবলম্বন করে তাদের রাজি করান। তারা তার কথামতো ৪টি হাইস গাড়ি ক্রয় করে রেন্ট-এ কার পার্টনারশিপ ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন।

সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এইচএনএস শোরুমে গিয়ে গাড়ি দেখে চয়েস করেন। 

তার কথা বিশ্বাস করে কালীপুর রামদাশ মুন্সির হাট বাজারের নোমান স্টোরের মালিক মো. নোমানের দুই ধাপে ২১ লাখ, পৌরসভা ৬ নম্বর ওর্য়াডের হাড্ডি মার্কেট এলাকার র্স্বণ ব্যবসায়ী বিকাশ দত্তের  ২৬ লাখ, সুব্রত দত্ত থেকে ৩ লাখ, কালীপুর এলাকার ব্যবসায়ী জসিমের ৩ লাখ এবং অশোক চৌধুরীর ৪৩ লাখসহ লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে উধাও । 

এ প্রতারকের বাড়ি চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে।  বর্তমানে  বাঁশখালী ছেড়ে পালিয়ে  কোথায় অবস্থান করছে কেউ জানে না। 
এই প্রতারক বিভিন্ন লাভজনক পদ্ধতি দেখিয়ে অনেকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। 

কালীপুর রামদাশ মুন্সির হাট বাজারের নোমান স্টোরের মালিক মো. নোমান দাবি করেছেন, কয়েক বছর আগে   আমাদের এলাকার এক চৌকিদারের মাধ্যমে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে র্দীঘদিন যাবৎ তার সাথে আমার সর্ম্পক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে সে আমাকে   রেন্টএ কারের পার্টনারশিপ ব্যবসা করার প্রলোভন দেখায়। 

আমি তার কথা বিশ্বাস করে স্টাম্পের মাধ্যমে এগ্রিমেন্ট করি। পরর্বতীতে তাকে আমি তিন ধাপে ২১ লাখ টাকা দিই। 

অপরদিকে বাঁশখালী পৌরসভা ৬ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা সুব্রত দত্ত জানান, দীর্ঘদিন আমাদের পার্শ্ববতী বাসিন্দা নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন ইসলাম ভিলাতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত এই নাছির। দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকায় বসবাস করার একপযার্য়ে তার সাথে পরিচয় হয়। বেশ কিছু দিন যাবৎ চলাফেরার একপর্যায়ে সে আমাকে ব্রিক ফ্রিল্ডে অর্ধেক মূল্যে অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে দুজনে নতুন ইট ক্রয় করে পরর্বতীতে লাভজনক ব্যবসার কথা বলায় আমি রাজি হই । 

পরবর্তীতে  তাকে তিন লক্ষ টাকা দিই। কিছুদিন যাওয়ার একপর্যায়ে তাকে মোবাইল ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাসায় গেলে দেখি দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। পরে জানতে পারি তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এর দুই-একদিনের মাথায় দেখি অনেক পাওনাদার তার খোঁজে বাসায় জড়ো হয়েছে। পরবর্তীতে জানতে পারে সে পালিয়ে গেছে। 

এ ব্যাপারে আমরা বাঁশখালী থানাসহ  প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। 
বর্তমানে এই প্রতারকের কারণে অর্থলগ্নকারী বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী তাদের মূলধন হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। 

সিভয়েস/আই


 

বাঁশখালী প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়