Cvoice24.com


বোয়ালখালীতে মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:২০, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
বোয়ালখালীতে মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

বোয়ালখালীতে রমিজা খাতুন (৫২) নামের এক ৪ সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর  আলমগীর নামের নিহতের কথিত ভাই পালিয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ার আবদুস সালামের ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।

নিহত রমিজা খাতুন উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের মৃত হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী। তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।  ২৬ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। 

নিহতের ছেলে মো. রুবেল জানান, ৪ মাস আগে বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ায় কথিত ভাই মো. আলমগীরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন তার মা। মো. আলমগীরকে এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও দিয়েছিলেন। 

ভাইদের মধ্যে বড়ভাই প্রবাসে থাকেন, মেঝ ভাই একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে নগরীতে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বাঁশখালীর শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মো. আলমগীরের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মো. আলমগীর বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন দাবি করে মো. রুবেল বলেন, ‘সে আমার মাকে খুন করে পালিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’  
আলমগীর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে বৈদ্যালির কাজ করতেন। সে সুবাদে মো. আলমগীরের সাথে রমিজা খাতুনের পরিচয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার সকাল ৮টার সময় আলমগীরকে দোকান থেকে পান কিনতে দেখা গিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

থানার উপপরিদর্শক মো. তাজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে একটি ভাড়াবাসা থেকে রমিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

রমিজা খাতুনের মরদেহ ভাড়াবাসার একটি পালঙ্কের উপর পড়ে ছিলো, গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় গোলাকৃতির কালচে দাগ রয়েছে।  আলমগীর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।   

বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছি। সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত জানা যাবে। 

সিভয়েস/আই
 

বোয়ালখালী প্রতিনিধি  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়