Cvoice24.com


‘যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি, সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ: দুদক কমিশনার

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১২ নভেম্বর ২০১৯
‘যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি, সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ:  দুদক কমিশনার

ছবি: সিভয়েস

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে। যে অফিসেই দুর্নীতি থাকুক না কেন, সেখান কঠোর হতে হবে।’

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুল রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত দুদকের ১৩৭তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
 
তিনি বলেন, ‘আজকের শুনানিতে যে অনিয়মগুলো উত্থাপিত হবে, সেগুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত যেন আমরা এখান থেকে দিতে পারি সে চেষ্টা করব। আর যেগুলো দিতে পারব না, সেগুলোর জন্য আমরা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিব।’

২০০৭ সাল থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে তিনজন কমিশনারের মধ্যে একজন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বাকি সকলেই কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন। তাদেরকে দিয়েই কমিশন বিভিন্ন ধরণের কাজগুলো করে থাকে।’

‘মূলত প্রতিরোধমূলক ও প্রতিকারমূলক দুটি কাজ করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজকের শুনানিটি প্রতিরোধমূলক কাজের অংশ। এছাড়া প্রতিকারমূলক কাজের মধ্যে যখন অভিযোগ পাই, তখন সেগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন মোট মামলা-মোকাদ্দমার ৭২-৭৩ ভাগের শাস্তি নিশ্চিত করতে পেরেছে। তবে সেটি শতভাগ করার লক্ষ্যে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করছি।’

‘এছাড়া প্রতিরোধমূলক কাজের মধ্যে আমাদের প্রতিটি জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি আছে। তারা জনগণের সাথে কাজ করার পাশাপাশি কমিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখছে।’

বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা প্রায় ২৮ হাজার স্কুলে সততা সঙ্গ ছাড়াও ৫ হাজার স্কুলে সততা স্টোর করেছি। যার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও সততার চর্চা করাচ্ছি।’

‘আমাদের সন্তানদেরকে ভালো মানুষ হতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই তারা ভবিষ্যতে একজন ভালো সেবাদানকারী হবে। কিন্তু বর্তমানে সবার মধ্যে অত্যাচার করে টাকা আদায়ের মানসিকতা রয়েছে। এটি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

চট্টগ্রাম ও মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এবং বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গণশুনানি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ্রব উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামস্থ দুদক পরিচালক মাহবুব হাসান ও চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের ভিশন ও ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ছাড়াও বন্দর দেশের বহিঃবাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে চেষ্টা করছে। অনেক সেবাগ্রহিতারা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণশুনানির বিকল্প নেই। তাই আমরা পরামর্শ পেলে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে আলোচন অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় সেবাগ্রহিতাদের বিভিন্ন অভিযোগের শুনানি ও সমস্যার নিষ্পত্তি পর্ব। এবার মোট ৫২ জন সেবাগ্রহীতার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে গণশুনানিটি শুরু হয়।

-সিভয়েস/এএফ/এএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়