Cvoice24.com


উদ্ধার কাজে র‌্যাব-পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ১২ নভেম্বর ২০১৯
উদ্ধার কাজে র‌্যাব-পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের পর উদ্ধার কাজে নেমেছে র‌্যাব-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা। স্থানীয় জনগণও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও দেখা যাচ্ছে উদ্ধার কাজে হাত বাড়িয়ে দিতে।

নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আলা আমিন (২৫) ও আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩৫) । তাদের দুইজনের বাড়ি হবিগঞ্জে।

মঙ্গলবার (১২) ভোর রাত পৌনে তিনটার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তুর্না নীশিতা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনায় আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৫৭ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তার মধ্যে কুমিল্লায় ১২ জন, ঢাকায় ৩ জন, আশুগঞ্জ ১০ জন, আখাউড়ায় ২ জন, কসবায় ২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮ জন।

আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামলকান্তি দাস জানান, মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তুর্না নীশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে।

সিভয়েস/এএইচ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়