Cvoice24.com


বন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৯ নভেম্বর ২০১৯
বন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ

ছবি : আকমাল হোসেন

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ সতর্কতা জারির পর বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠা নামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে সকাল থেকেই। একই সাথে বহির্নোঙরে পণ্য স্থানান্তরও বন্ধ রয়েছে। কর্ণফুলী নদীতে অবস্থারত ছোট নৌযান নদীর উজানে পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকে বন্দর অভিমুখে পণ্যবাহী  ট্রাকের সংখ্যও চোখে পড়ার মত নয়।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে।

এ ছাড়া বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 
জানা গেছে, শুক্রবার থেকে আজ পর্যন্ত বন্দরে মোট ৯৪ টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে বহির্নোঙরে খালাস হয় এমন পণ্যবাহী বড় জাহাজ রয়েছে ৩৮টি। জেটিতে রয়েছে ১৮টি জাহাজ। বন্দরের সব কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে একটির ওপর কয়েকটি রাখা কনটেইনার নামিয়ে রাখা হচ্ছে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৬ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় রয়েছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর অঞ্চল। ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের আওতার মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের মূল জেটিতে ১৬টি এবং বিশেষায়িত জেটিতে দুটি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হচ্ছিল। এখন কাজ বন্ধ করে কাল জোয়ারে সাগরে পাঠানো হবে। সব জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখা হয়েছে। বন্দর জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজ বাড়তি রশি দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে। লাইটার জাহাজগুলো নদীর উজানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বাড়িয়ে চারটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।

এনসিটি ও সিসিটির দায়িত্বে থাকা বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভির জানান, সকাল ৭টায় সিসিটি এনসিটির অপারেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে সাগরে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে এমন কার্যক্রম হাতে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

-সিভয়েস/এএফ/এসসি

 

 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়