Cvoice24.com


৭ জন ডাক্তার দিয়েই চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ৪ নভেম্বর ২০১৯
৭ জন ডাক্তার দিয়েই চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল

ছবি : সিভয়েস

১শ' শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৭ জন ডাক্তার দিয়ে। সহকারী সার্জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট , মেডিক্যাল অফিসার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক,গাইনি চিকিৎসক ও নার্সসহ মোট ২৫টি পদ থাকলেও বর্তমানে ৭জন ডাক্তার ও ১ জন স্টাফ নার্স কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ আছে, বছরের পর বছর এ হাসপাতালে এমন অবস্থা চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। শুধু মেডিক্যাল সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এমন নয় সাথে কিছুদিন আগে উদ্বোধন করা প্যাথলজি বিভাগ ও চলছে অনঅভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে। প্যাথলজিতে নির্নয় মেশিনে ১৫-১৬ টি টেস্ট করা গেলেও কনসাল্টেন্ট না থাকায় ডাক্তার দিয়ে যেসব রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা দিতে পারছে না।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশের এক সদস্য সিভয়েস কে বলেন, এখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নেয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। কোনো জটিল বা বড় রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের হয়তো বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার দেখাতে হয়।
   
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশু বিভাগে একজন ডাক্তার থাকলেও তিনিই আবার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারিটেন্ডেন্ট (ইনচার্জ) হওয়ায় তাকে সর্বদা প্রশাসনিক ও দাফতরিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে মাত্র ৬জন মেডিক্যাল অফিসার দিয়েই সামগ্রিক চিকিৎসাসেবা করাতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।   

হাসপাতাল সুত্র জানায়, মাত্র ১ জন চিকিৎসক হলেন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আহমেদ রাসূল। এছাড়াও বাকি ৬ জন চিকিৎসক নিয়মিত আউটডোর চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা, জরুরি বিভাগসহ সামগ্রিক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ১ জন সার্জন আছেন যিনি আবার মেজর সার্জারি গুলোতেও সময় দেন। অন্য বিভাগ গুলোতে ডাক্তার না থাকায় সেবা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কর্মরত একজন সিভয়েসকে বলেন, আউটডোরে রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত হলে হিমশিম খেতে হয় দায়িত্বরতদের। যার ফলে  চিকিৎসাসেবা ব্যহত হয়। তাদের (ডাক্তার) বিশেষ কারণে ছুটি নিতে হলে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এবারের দূর্গাপূজার আগের দিন হাসপাতালে ১ হাজার ১২৫ জন রোগী আসেন। তখন এই কয়েকজন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।
 
এ বিষয়ে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারিটেন্ডেন্ট (ইনচার্জ) ডা. আহমেদ রাসূল সিভয়েসকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই সংকট চলে আসছে । আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও মন্ত্রনালয়ে  এইসব সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছি। তবে সমস্যার সমাধানে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন পড়বে। তিনি বলেন, চিকিৎসক সংকটে রোগীরা যেমন বিড়ম্বনায় পড়ছেন ঠিক তেমনি নিজেরাও ভোগান্তিতে পড়ছি। তাই দ্রুত  ডাক্তার নিয়োগের বিকল্প দেখছি না।   

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংকট থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুত এই সংকট নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের আরো দায়িত্ববান হওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন তারা।
 
সিভয়েস/এএইচ/এসসি

আকমাল হোসেন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়