Cvoice24.com


মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক, অনুমোদনের অপেক্ষায় আরো ৩টি

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক, অনুমোদনের অপেক্ষায় আরো ৩টি

ফাইল ছবি

সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম সফলতা কমিউনিটি ক্লিনিক। দেশে স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে  গড়ে উঠেছে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’।

এ প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও সেবামূলক করার জন্য হাতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত। বিশ্বের অনেক দেশ কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম রোল মডেল বিবেচনায় নিয়ে নিজ দেশেও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। 

তৃণমূল পর্যায়ে প্রতি ছয় হাজার লোকের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা হিসেবে বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় নতুন করে আরো তিনটি  কমিউনিটি ক্লিনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) নামে জায়গা দান করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অফিসে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। বর্তমানে প্রতিদিন একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৩৮ সেবাগ্রহীতা যাচ্ছেন।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক ডেলিভারি কার্যক্রম হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানা গেছে, চট্টগ্রামে  ৬শ' ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে অনুমোদিত ৫ শত ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। বর্তমানে চালু রয়েছে ৫ শত ১৪টি। আরও  ৮০ টি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

চট্টগ্রামে অনুমোদনের অপেক্ষা থাকা তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক হলো, মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে,হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড, জোরারগঞ্জ উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক। ৩২ প্রকার ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতদের দেয়া হয় কমিউনিটি ক্লিনিকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা ও সেবার মান দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। বাড়ির পাশেই  সম্পূর্ণ  বিনামূল্যে ৩২ প্রকার ওষুধ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতদের দেয়াটা পৃথিবীতে বিরল। বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবায় যে অগ্রগতি সেটি মূলত এই কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার জন্যই সম্ভব হয়েছে। এ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে  সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক  মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ কাছাকাছি  সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

চট্টগ্রামে নতুনভাবে তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক  অনুমোদনের জন্য কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায়  সহযোগী ভূমিকা পালন করে আসছে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ছয় হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৮ সালের ২৮ জুন একনেক সভায় তা অনুমোদন লাভ করে। পরে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প পুনরায় চালু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি দান ও সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সরকারের কারিগরি সহায়তায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গড়ে উঠেছে।

সিভয়েস/আই

মিনহাজুল ইসলাম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়