Cvoice24.com


উখিয়ায় ধানচাষে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা চাষিরা 

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
উখিয়ায় ধানচাষে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা চাষিরা 

ফাইল ছবি

উখিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে চাষাবাদে দেখা দিয়েছে ব্যাপক পোকার আক্রমণ। ধান চাষের ফলন আসার আগ মুহূর্তে স্থানীয় ভাষায় কারেন্ট রোগ বা গুনগুনি পোকার মারাত্মক আক্রমণ দেখা দেওয়ায় চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এতে ফলনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 

উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রোগের প্রাদুর্ভাবের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুরো এলাকায় মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

উখিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমী উপজেলার রত্নাপালং, হলদিয়া পালং, রাজাপালং, জালিয়া পালং ও পালংখালী ইউনিয়নে  ৮ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষের আবাদ হয়েছে। উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ, প্রযুক্তি ব্যবহার ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষিরা চাষাবাদ চাষাবাদ করেছেন। এছাড়াও সঠিক পরিচর্যা, পানি নিষ্কাশন ও রোগ বালাই দমনে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেছেন কৃষকরা।
 
স্থানীয় চাষিরা জানান, বর্তমানে প্রতিটি জমিতে ধানের ফলন আসতে শুরু করেছে। এমনকি কিছু কিছু জমিতে ধান পাকন ধরেছে। কিন্তু হঠাৎ গুনগুনি রোগের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় হতাশ ও উৎকন্ঠা বেড়ে গেছে।  
 
অনেক কৃষক জানান, শত শত একর জমিতে গুনগুনি পোকা বা কারেন্ট রোগ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।এতে ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা  দেখা  দিয়েছে। 
 
এদিকে উখিয়া কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ইউনিয়ন পর্যায়ে রোগবালাই প্রতিরোধ ও দমনে নানা কৌশল এবং ওষুধের ব্যবহার বিষয়ে কৃষকদেরকে ধারণা দিয়ে যাচ্ছেন।
 
স্থানীয় কোটবাজার স্টেশনের কীটনাশক ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন শত শত কৃষক দোকানে এসে গুনগুনি রোগের ওষুধ ক্রয় করছেন।
 
খোন্দকার পাড়া, ভালুকিয়াপালং ও হলদিয়া পালংয়ের কয়েকজন কৃষক জানান, গুনগুনি প্রকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ধান চাষ  আগুনের মত পুড়ে যায়। যা ওষুধ ছিটিয়ে  প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক এলাকায় এ রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। আবাহাওয়ার বৈরী প্রভাব ও জলবায়ু পরিবর্তন দেখা দেওয়ায় এর তীব্রতা বেড়ে গেছে।
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে কৃষিবিভাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে আলাপ-আলোচনা করে পুরো এলাকায় মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
 
স্থানীয় কৃষকরা বলেন- হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বা অগ্রিম টাকা  দিয়ে বর্গা জমি নিয়ে তারা চাষাবাদ  করেছেন। কিন্তু গুনগুনি বা কারেন্ট রোগের কারণে ফসল পুড়ে মরে যাওয়ায় এখন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার  মুখে পড়েছেন। 

সিভয়েস/আই
 

আবদুল্লাহ আল আজিজ, উখিয়া 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়