Cvoice24.com


আমরা সকল মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করতে চাই : জয়

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২২ অক্টোবর ২০১৯
আমরা সকল মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করতে চাই : জয়

সংগৃহীত

ইয়াং বাংলার নেয়া 'ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশিপ' সম্পর্কে আলোচনায় তরুণদের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে  প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা সকল মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করতে চাই। কিন্তু যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব এক্টিভ, তারা দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকিরা হয়ত শুরু করবে। তবে জেলা পর্যায়ে ডিসি অফিসে ইন্টার্নদের কাজে লাগানোর প্রস্তাবটি খুবই ভালো। আমরা এই প্রস্তাবের নিরিখে কাজ করব।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হোটেল র‌্যাডিসনে সিআরআইয়ের আয়োজনে ‘ইয়ং বাংলা উইথ সজীব ওয়াজেদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের ‘ইয়ুথ অন পলিটিক্স’ সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

তরুণদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, শুধু চাকরির দিকে নজর দেবেন না। আমাদের অর্থনীতি বাড়ছে। উদ্যোক্তা হন, নিজের পাঁয়ে দাঁড়ান। অন্য কারও উপর আপনার নির্ভরশীল হতে হবে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল যে, দেশের তরুণদের দেশের কাজে, দেশের মানুষের কাজে এগিয়ে আনা। আমাদের তরুণরা যাতে বসে না থাকে। আজকের তরুণদের দেখে আমি গর্বিত। তারা সরকারের কাছে হাত পেতে নেই। দেশ গড়তে তারা নিজেরাই আজ এগিয়ে এসেছে। আমরাই পারি, আমাদের তরুণরাই পারে। তারা নিজ উদ্যোগে দেশকে এবং দেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপনারা নিজেদের কোম্পানি করেন। আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন বাণিজ্য করে দেশের এবং দেশের মানুষের কী লাভ? আপনারা তখন অন্যদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারবেন। আপনাদের কোম্পানিতে আপনারা অন্যদের চাকরি দিতে পারবেন। সেজন্য আমরা চেয়েছি, তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব, তার সাথে আমরা তরুণদের আকর্ষণ করব, তরুণদের আহ্বান জানাব যে, আসো নিজের উদ্যোগে কিছু করো। দেশের জন্য কিছু করো।

দেশে বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে সীমিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকার কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, দেখেন আবারও সেই বিসিএসের প্রশ্নে চলে যাই। সরকারি চাকরি, বিসিএসে চাকরি কিন্তু বছরে চার থেকে পাঁচ হাজার। মাত্র, সামান্য। কিন্তু এই যে প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসছে তাদের কিন্তু বেশিরভাগের (সরকারি চাকরিতে) সুযোগ, সম্ভাবনাই নাই। কারণ সরকারি চাকরি মাত্র পাঁচ হাজার।

তরুণদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, আপনার সন্তানকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে শেখান। ২৫ বছর বয়সে কেউ বাচ্চা বা শিশু থাকে না। অথচ আমার দেশে ২৫ বছর বয়সী একজন নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারে না। তাহলে ভবিষ্যতে তারা নিজ পায়ে কবে দাঁড়াবে! তাদেরকে চাকরির কথা না বলে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে বলুন। তাদের ভুল করতে দিন। কেননা নিজের ভুল থেকে যে শিক্ষা হয়, তা আমরা সহজে ভুলি না।

তিনি বলেন,  আমি এই ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, তবে চাকরি চাই। দেখেন একটি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সেই ইউনিয়নে বসে কিন্তু মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করছে। তার কি আর চাকরি প্রয়োজন আছে?

আর চাকরির প্রতি এই আগ্রহের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, কারণ একটা আছে। আমাদের মা-বাবারা ছোটবেলা থেকে আমাদের শেখান যে, একটা ডিগ্রি নাও তারপর একটা চাকরি নাও। আর সেটা যদি না করো তুমি কিছুই করো নাই।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রশ্ন আসে কর্মসংস্থানের যে, তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আওয়ামী লীগ কী করছে?

সজীব ওয়াজেদ বলেন, তবে দেখেন, আবার আমি যেটা বলব, শুধু সরকারের কাছে হাত পেতে থাকবেন না। আমাদের একটা চিন্তাধারা ছিল বা মাইন্ডসেট ছিল, যেটা আমি বলব একটু পুরাতন মাইন্ডসেট। সেটা হচ্ছে যে, ইউনির্ভার্সিটিতে যাব, একটা ডিগ্রি নেব তারপর একটা চাকরি নিয়ে সারা জীবন চাকরি করে রিটায়ার করব পেনশন নিয়ে। আর কিছু করার দরকার নেই। তবে দেখেন সেটা কিন্তু আমি বলব, স্বার্থপরের মতো চিন্তা।

সমাজের জন্য কিছু না করে শুধু নিজে চাকরি করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমার পরিবারে সেটা সম্ভব হয়নি। আমার পরিবারে… দেশের জন্য যদি তুমি কিছু না করে থাক তাহলে তুমি কিছুই করোনি। এটাই হল আমার অভিজ্ঞতা। তবে সবাইকে যে শুধু সমাজ সেবা করতে হবে সেটাও কিন্তু না।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল যে, দেশের তরুণদের দেশের কাজে, দেশের মানুষের কাজে এগিয়ে আনা। আমাদের তরুণরা যাতে বসে না থাকে।এই প্রশ্নটি আমাদের কাছে সব সময় আসে যে, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার তরুণদের জন্য কী করছে? সেটার জবাব আপনারা। সেটার জবাব ইয়ং বাংলা।

এ সময় উপস্থিত তরুণদের গ্রহণ করা বেশ কিছু উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে সজীব ওয়াজেদ জয়।

উপস্থিত সকল তরুণদের উদ্দেশ্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আজ ইয়াং বাংলার মাধ্যমে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে তা কিন্তু সরকারি উদ্যোগ নয়। মাথায় রাখবেন, ইয়াং বাংলা সিআরআই-এর প্রতিষ্ঠান। আর সিআরআই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা। সুতরাং আপনারা ইয়াং বাংলার মাধ্যমে যে দেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তা আওয়ামী লীগের কারণে সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ ও ২০১৭ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী জহির ইকবাল নান্নু। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী হিসেবে ছিলেন বিগত তিনবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী, ইয়াং বাংলার জেলা কো-অর্ডিনেটর, ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর ও স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের অংশগ্রহণকারীরা।

-সিভয়েস/এসসি

 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়