Cvoice24.com


চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুট: ট্রেনে জ্বলে না লাইট, ঘুরে না ফ্যান!

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২২ অক্টোবর ২০১৯
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুট: ট্রেনে জ্বলে না লাইট, ঘুরে না ফ্যান!

ছবি: সিভয়েস

প্রচণ্ড গরম। ষোলশহর স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে চট্টগ্রাম-দোহাজারীগামী ট্রেন। দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। প্রচণ্ড গরমে দরদর করে ঘামছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ টিকিট কেটে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের ট্রেনে যাতায়াত করেন।

চাহিদা অনুযায়ী সিট ক্যাপাসিটি না থাকায় অনেক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে, ফ্লোরে বসে গন্তব্য স্থানে যান। এতো কিছুর পরও যাত্রীদের অভিযোগ, মাথার উপর ফ্যান থাকলেও ফ্যান ঘুরে না। আর  লাইট থাকলেও রাতের বেলায় লাইট জ্বলে না। কিছু কিছু বগিতে লাইটের ঘরগুলোও ভেঙে আছে। ঝুলে আছে শুধু লাইটবিহীন লাইটের তার।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ষোলশহর স্টেশনে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের ট্রেনে কিছু কিছু বগিতে লাইটের পয়েন্ট থাকলেও লাইট নেই। আছে শুধু লাইটের জন্য ঝুলিয়ে রাখা তার। যাত্রীদের মাথার উপর ফ্যান থাকা সত্ত্বেও ফ্যান না ঘুরার এমন চিত্রের দেখা মিলে। 

প্রতিদিন চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে সন্ধ্যার পর লোকাল ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু ট্রেনের একটি বগিতেও বাতির ব্যবস্থা নেই। এতে প্রায়ই চুরির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।

বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মো. হাসান বলেন, সময়ের কথা চিন্তা করে ট্রেনে করে অফিসে আসা যাওয়া করি। তবে ট্রেনে ফ্যান থাকা সত্ত্বেও সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। সেগুলো একধরনের নষ্ট বললেই চলে। 

ইউনুস্কো টিঅ্যান্ডএ (বিডি) লিমিটেডের সহকারী স্টোর ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, চাকরির সুবাধে প্রায় সময় ট্রেনেই যাতায়াত করা হয়। অফিসে যাওয়ার সময় হয়তো কোনো রকম যেতে পারি। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার সময় স্বস্তি পাই না। কারণ, ট্রেনের কোনো বগিতে লাইট ঠিক নেই। পুরো যাতায়াতে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে ট্রেন। যার কারণে নিজেরা নিরাপত্তাবোধ করি না। 

কলেজছাত্র মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, সড়কে জ্যাম থাকার কারণে এবং বাড়ি যাওয়া নিরাপদ ও সময় কম লাগার কথা চিন্তা করেই ট্রেনে করে যাতায়াত করি। কিন্তু  প্রচণ্ড গরমে যাত্রীরা ঘেমে চুপসে যায়।  

প্রতিটি বগিতেই খুব সুন্দর করে ফ্যানগুলো লাগিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ একটি ফ্যানও ঘুরে না। এ কারণে গরমে নাকাল হয়ে বাড়িতে পৌঁছতে হয়। কিন্তু যাত্রীদের এ সমস্যা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যাত্রীদেরকে সুবিধা দেওয়ায় আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। পুরাতন কোচগুলো সংস্কার করে লাইট-ফ্যান সব ঠিক করে দেওয়া হবে। 

তিনি আরো বলেন, ওয়ার্কশপে কোচ মেরামত চলছে। কোচ মেরামতের কাজ শেষ হলেই চট্টগ্রাম-দোহাজারীগামী ট্রেনে সংযোজন করে দেয়া হবে। তখন যাত্রীদেরকে আর কোনো রকম ভোগান্তি পোহাতে হবে না। বাড়বে যাত্রীসেবার মান।

-সিভয়েস/এমএম/আই

মিনহাজ মুহি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়