Cvoice24.com


হাটহাজারীতে রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২২ অক্টোবর ২০১৯
হাটহাজারীতে রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

হাটহাজারীতে আনিসুর রহমান (১৯) নামের এক রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা এলাকার নওশাপাড়া মিয়া মেম্বারের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আনিসুর রহমান ঐ বাড়ির মনসুরের পুত্র।

তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যা ধারনা করলেও নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে নিহতের পরিবার জানায়, নিহত আনিস রাজমিস্ত্রির কাজ সেরে প্রতিদিনের মত রাত দশটার মধ্যে ঘরে না ফেরায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তার মুঠোফোনে বার বার কল করলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিহতের পিতা রাত একটার দিকেও ঘরের সামনের দরজা খুলে ছেলের উপস্থিতি পায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে। নিহতের পিতা সকাল ছয়টার দিকে পুকুরে যাওয়ার সময় খেয়াল করে ছেলে ঘরের দক্ষিণ পাশে আম গাছের সাথে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে।
তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পৌনে ১০টার দিকে লাশ টি উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছে ধারনা করলেও নিহতের পরিবার দাবি করছে তাদের একমাত্র পুত্র সন্তানকে পার্শ্ববর্তীরা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

তারা জানান নিহতের মায়ের পার্শ্ববর্তী সৎ ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নিহতের ঘরের জায়গা নিয়ে সমস্যা চলছে। নিহতের বাবা-মাকে শারীরিকভাবে মারধরের পাশাপাশি মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত এক বছর আগেও মেয়ে সংক্রান্ত একটি ঘটনার জের ধরে নিহত আনিস ও তার বাবা মাসহ ঐ বাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মিথ্যা মামলা করে নিহতের মামারা। যার ফলে নিহত আনিস আটদিন জেলও খেটেছেন। চলতি মাসের ১তারিখ ঐ মামলায় হাজিরাও দিয়েছেন তারা।

মা দিলওয়ারা আরো বলেন, প্রায় সময় তারা আমাদের গালিগালাজ করে আমরা অসহায়ের মত শুনা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। গত শনিবারও তারা আমাদের গালিগালাজের পাশাপাশি ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। পুরো বাড়ির কারো সাথেই অভিযুক্তদের সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, তারা পুরো বাড়ির চলাচলের দীর্ঘদিনের পথটিও ক্ষমতাবলে বন্ধ করে দিয়েছে তিন বছর আগে। আমাদের ধারনা তারাই মেরেছে আমার ছেলেকে। আমাদের আর কারো সাথে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।

তবে অভিযুক্ত সাহেদ অভিযোগটি মিথ্যা জানিয়ে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা চলছে ঠিক কিন্তু মারার প্রশ্নই আসে না। আমরাও চাই সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিষয়টি ক্লিয়ার হোক।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা করেছে ধারনা করছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা।

সিভয়েস/এএইচ

হাটহাজারী প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়