Cvoice24.com


গ্রেফতার আতঙ্কে যুবলীগ নেতাদের আত্মগোপন

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২১ অক্টোবর ২০১৯
গ্রেফতার আতঙ্কে যুবলীগ নেতাদের আত্মগোপন

ফাইল ছবি।

ঢাকার পর দুর্নীতি মাদকসহ নানা অপরাধে  চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা নুর মোস্তাফা টিনুকে আটক করেছে র‌্যাব। একই অপরাধে মোগলটুলি এলাকার যুবলীগ নেতা খুরশিদ আলম নিহত হয়েছে বন্দুকযুদ্ধে। এ অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে আত্মগোপনে চলে গেছে অনেক যুবলীগ ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম পলিটেকনিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি যুবলীগ নেতা আবু মো. মহিউদ্দীন বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে আছে। কোনো কর্মসুচি বা তার নিজ এলাকায়ও তার দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার অনুসারীরা।

এর আগে তাকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে এমন একটি গুজব ছড়ালেও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার আগেই সে ভারতে চলে যান।

একইভাবে যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত শীর্ষ এক নেতার ক্যাশিয়ার হিসেবে খ্যাতি পরিচিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর আহমদ, সিআরবি এলাকার রিটু দাশ ওরফে বাবলু, নগর যুবলীগের সদস্য জিইসির ভূইয়া গলির মশিউর রহমান দিদার, সরকারী সিটি কলেজের সাবেক ভিপি নালাপাড়া এলাকার জহির উদ্দিন চৌধুরী বাবর, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক আবদুর রউফ, চান্দগাঁও এলাকার ত্রাস যুবলীগ ক্যাডার এছরারুল হক, চকবাজার এলাকার দেলোয়ার হোসেন ফরহাদকে কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে না।

ধারণা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের জাল থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ধনিয়ালাপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.জাবেদ, পাঠানটুলি ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল কাদের প্রকাশ (মাছ কাদের) ,পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোবারক আলীকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সুত্র।  

জানা গেছে, রাজধানীতে অভিযান শুরুর কয়েক মাস আগেই দেশ ছেড়ে দুবাইতে পাড়ি জমান যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তাঁর বিরুদ্ধে রেলওয়ের দরপত্র নিয়ন্ত্রণে রাখার অভিযোগ রয়েছে।

দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি এলাকায় যে জোড়া খুন হয়, সেই মামলার আসামি তিনি।  বাবরের সহযোগী রিটু দাশ ওরফে বাবলু সম্প্রতি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর রয়েছে।

বাবর রেলওয়ে ঠিকাদারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আর সভাপতি হিসাবে আছেন পাহাড়তলী ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর মো. হোসেন হিরণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার জানান, রেলের সরকারি টেন্ডার হলে তাদের টাকা দিয়ে কাজ করতে হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তালিকায় কারা আছেন তা জানাননি তিনি।

সিভয়েস/ইএ/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়