বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিবির, ছাত্রদল সক্রিয় : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর বিভিন্ন দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল সক্রিয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদের আবেগ-অনুভূতিকে পুঁজি করে একটি মহল বিশেষত, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ফায়দা লুটতে পারে। তারা সবাই মিলে এ ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্রাঙ্গনকে অশান্ত রেখে, দেশকে অশান্ত করার দূরাভিসন্ধি থেকে ছাত্রদের মধ্যে তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে।

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠির তৎপরতা বাড়বে বলে মনে করেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাময়িকভাবে যেটি বন্ধ করেছে, সেটি পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এটি একান্তই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।

হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক ও নৃশংস। আমরা প্রথম থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। কেউ দাবি তোলার আগেই সরকার এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে ছাত্রদের যে আবেগ, সেটার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করি।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি শিবির সক্রিয় হয়েছে, ছাত্রদল সক্রিয় হয়েছে। স্বনামে নয়, বেনামে সক্রিয় হয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার পর কেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা? সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেউ যাতে এটিকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে সেজন্য ছাত্রদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

যারা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে অতীতে যুক্ত ছিলেন, বিরাজনীতিকরণের জন্য যারা সচেষ্ট থাকেন, তাদের কারও কারও মুখ থেকে এ কথাগুলো আসছে বলে আমরা লক্ষ্য করছি। তবে দেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার দাবিকে অমূলক বলে মনে করেন তিনি।

সিভয়েস/জেআইএস/এসসি