Cvoice24.com

ইসলামী ব্যাংকের চিকিৎসা দরকার: প্রফেসর পারভেজ

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৮
ইসলামী ব্যাংকের চিকিৎসা দরকার: প্রফেসর পারভেজ

ছবি : সিভয়েস

প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান। একটানা ত্রিশ বছর শিক্ষকতা জীবন তার। এর মধ্যেও পালন করেছেন বিভিন্ন ব্যাংক বীমা খাতের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব। সর্বশেষ ছিলেন দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান। বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চের চেয়ারম্যান। দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকিং খাতের গবেষক প্রফেসর পারভেজের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে দেশের ব্যাংকিং খাতের নানা দিক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিভয়েস’এর পরিকল্পনা সম্পাদক হিমাদ্রী রাহা। 

সিভয়েস- স্যার কেমন আছেন? 

প্রফেসর পারভেজ- অস্থির এক সময় বহমান চারদিকে। তারপরও বলি ভালো আছি। ভালো থাকতে হয়। আপনি কেমন আছেন? 

সিভয়েস- জ্বি ভালো। স্যার আপনিতো দেশের বেশ কয়েকটি সরকারী বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসব অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ব্যাংকিং খাত কোন অবস্থায় আছে এবং সে বিষয়ে আপনার অভিমত কি? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন দেশের এই একটি সেক্টর খুব অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। যা একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমাকে খুবই পীড়া দেয়। ব্যাংক খাতের কথা যদি বলতে হয় তবে বলবো,মিস গভর্নেন্স,অব্যবস্থাপনা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে ব্যাংকগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩-১৪টি ব্যংককে বাংলাদেশ ব্যাংক ঝুঁকিপূণ বলেছে। এগুলো প্রায় তাদের পুঁজি খেয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক,এন আর বি,সোনালী ব্যাংক,বেসিক ব্যংক এরা তো ক্যাপিটালই হারিয়ে ফেলেছে। আর সবশেষ পরিচালনা পর্ষদে ঘন ঘন পরিবর্তন এনে অনেকটা বেসামাল অবস্থায় আছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলোর এই অবস্থার জন্য কাউকে আর দোষারোপ করে লাভ নেই। বিষয়টা এখন দোষারোপের উর্ধ্বে চলে গেছে। দোষ তখনই দেয়া যায়, মৃদু মৃদু দোষ মৃদু মৃদু সমালোচনা করে যখন  তা সংশোধনের পর্যায়ে থাকে। কিন্তু সমস্যাটি এখন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে,এটার সার্জারি দরকার। 

সিভয়েস- স্যার আপনি যে বললেন ব্যাংকগুলোর বেসামাল অবস্থা। এর জন্য দায়ী কে? 

প্রফেসর পারভেজ- একটা ব্যাংকের পুঁজি যখন চলে যাচ্ছে তখন তার জন্য ব্যাংকটির এমডি বা সিইও দায়ী। ভিয়েতনামে যেমন পুঁজি হারানোর দায়ে ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছিলো তেমনি এদেশেও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা উচিত। আমি ব্যাংকের এমডি বা সিইও হয়ে আমি জানবো না ব্যাংকের টাকা কোথায় কে আত্মসাৎ করলো তা তো হতে পারেনা। সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতি ও রাজনীতি এই দুই নীতির কাছে পরাজিত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ্য হিসাবে এক লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার যারা বাবার সম্পত্তি মনে করে জনগনের টাকা লোপাট করেছে সেই হিসাবসহ করলে প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এই দায় কার? কেন হলো এসব? 

ইংরেজীতে দুটি কথা আছে- system corrupts system, In every system there is an built in self destructive system.

এই দুর্নীতি এবং আত্মঘাতী নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে ব্যাংকগুলোতে বের হতে হবে। 

সিভয়েস- এই দুর্নীতি ও আত্মঘাতী নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পেছনে কি কোন রাজনৈতিক শক্তির হাত আছে? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন অনেকেই রাজনীতিবিদদের দিকে আঙুল তুলে। বিশ্বাস করুন আমি যখন রুপালী ব্যাংকে ছিলাম কোন রাজনীতিবিদ আমাকে ফোন করেনি। আমি যখন ইসলামী ব্যাংকে ছিলাম কোন রাজনীতিবিদ আমাকে ফোন করেনি। ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তারাই নিজের পকেট ভারী করার জন্য রাজনীতিবিদদের নাম জড়িয়ে দেয়।  

লোনের ক্ষেত্রে ৩% সিস্টেম একটা প্রথা হয়ে গেছে। আপনি ১০০ কোটি টাকা লোন নেবেন? তো তিনকোটি টাকা কর্মকর্তাদের দিন। আপনার লোন পাশ হয়ে যাবে। কোন কোন জায়গায় ২৫% পর্যন্ত নিয়ে এমডি ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে থাকে। এই ধরণের সীমাহীন লোনের সিস্টেম এখন আর দায়বদ্ধতার জায়গায় নেই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই,এই ধরণের সমস্যাগুলো এখন আর একটি দুইটি ব্যাংকের নয়। দেশের ৫৭টি ব্যাংকের একই অবস্থা। এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে  অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। বলা যায় দেশের ব্যাংকিং সিস্টেমে ভাইরাস ঢুকেছে। দরকার এন্টিভাইরাস। এই ভাইরাস নির্মূলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

সিভয়েস- ব্যাংকিং খাতে এই অস্থিতিশীল অবস্থা কেন? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন টাকা এমন একটা জিনিস যা চরিত্রকেও নষ্ট করে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেগবান ছিলো। কিন্ত এখন সেই চেতনার প্রতিফলন কতটুকু? আবার ব্যাংকের টাকা যারা ফেরত দিচ্ছেনা তাদের মধ্যে সবাই অপরাধী নয়। পদ্মার পাড়ে আপনি ফ্যক্টরি করলেন,কক্সবাজারে আপনি লবন চাষ করলেন,বন্যায় সব ধ্বংস হয়ে গেলো। তখন সেখানের টাকা তো আর ফেরত আসবে না। এগুলোকে আমরা ডিসট্রেস কেইস বলি। এক্ষেত্রে ব্যাংকের উচিত এসব ব্যবসায়ীদের আবার তুলে দেওয়া। এরপর লোনের টাকা তুলে আনা। এমনও ঘটেছে ব্যাংকের লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মারা গেছেন আমার ছোটবেলার এক বন্ধুর বাবা। কথায় আছে আপনি সবকিছু লোপাট করলেও ব্যাংকের টাকা কখনো লোপাট করতে পারবেন না। কিন্তু সে সংজ্ঞা এখন পাল্টে গেছে। ব্যাংকের টাকাই লোপাট হচ্ছে সহজে। ব্যাংকের টাকা নিলে দিতে হয়না। এধরণের একটি কালচার দাঁড়িয়ে গেছে।এ যেন ’সরকার কা মাল দরিয়ামে ঢাল’ । যদি বলি রোগ সংক্রামক নাকি গুণ সংক্রামক? উত্তর হবে রোগ। আমার চর্মরোগ আছে । আমি যদি আপনাকে স্পর্শ করি আপনার  শরীরে চর্মরোগের জীবাণু প্রবেশ করবে। কিন্তু আমার ভালো গুণসমূহ প্রবেশ করবে না। ব্যাংকিং সেক্টরটাও এখন দুর্নীতি নামক জীবাণুতে ভরা। তবে আশার কথা হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের হাল ধরেছেন। অনেক বাধা বিপত্তি ঠেলে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায়  ব্যাংকগুলোও দুর্নীতি কাটিয়ে আবারো উঠে দাঁড়াবে। সেই সুদিন হয়তো সামনে আসবে। 

সিভয়েস- স্যার সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন। এছাড়াও মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে পরিচালনা পর্ষদে তিন তিনবার বড় পরিবর্তন। সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ব্যাংক এখন ঋণও দিতে পারছেনা। শোনা যাচ্ছে ব্যাংকটিতে বিনিয়োগও বন্ধ। সবমিলিয়ে ব্যাংকটির একজন সাবেক কর্মকর্তা ও ব্যাংকিং বিশ্লেষক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান অবস্থাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন আপনি? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন আমি জ্যেতিষী বা গোয়েন্দা নই, তাই সব জানিনা। যা জানি তা জানাতে পারি। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে আরাস্তু খানের পদত্যাগ বা অপসারণ যাই বলুন এটি প্রত্যাশিত ছিলো। কিছুদিন আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে অনুদানের চেক দিতে গিয়ে ছবি তুলে তা পত্রিকায় ছাপান। সেটা ছিলো তাঁর আত্মরক্ষার শেষ কূটচাল। এমনকি অপসারণের একদিন আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে ধর্ণা দেন তিনি। কিন্তু কাজ হয়নি। আরাস্তু খানের ইসলামী ব্যাংকের মতো বৃহৎ একটি ব্যাংক চালানোর কোন যোগ্যতা ছিলো না। ব্যাংকের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী একটি চক্রের উপর ভর করে তিনি কিছু না বুঝে ব্যাংক চালাচ্ছিলেন। যার ফলে এনপিএল (নন পারফর্র্মিং লোন) বাড়তে থাকে এবং এডিআর ৯২% এ চলে যায়। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে উইন্ডো ড্রেসিং করে ব্যাংক চালাচ্ছিলেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে ব্যাংকে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে টপ ম্যানেজম্যান্টের আসনে বসিয়ে ব্যাংক চালাচ্ছিলেন তিনি। ফলে ব্যাংকটির অধঃপতন হতে থাকে। মালিকপক্ষ আর আস্থা রাখতে পারছিলো না তার প্রতি। তাই আরাস্তু খান সরে যেতে বাধ্য হন। তাঁর অপরিণামদর্শিতার কারণেই ব্যাংকটি আজ ঋন দিতে পারছেনা । এমনকি বিনিয়োগও বন্ধ। 

সিভয়েস- তাহলে স্যার এই পরিস্থিতির সমাধান কি? 

প্রফেসর পারভেজ- এর সমাধান হলো ব্যাংকটিতে বাস্তবভিত্তিক উপযোগী পলিসি প্রয়োজন। এককথায় যদি বলি ইসলামী ব্যাংকের চিকিৎসা প্রয়োজন। 

সিভয়েস- অনেকগুলো নতুন ব্যাংক তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং আরো ব্যাংক আসবে। এর প্রভাব কেমন হবে? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন দেশে এখন ১২টি ব্যাংক এলেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হলো ব্যাংকগুলো যেন গুটিকয়েক ব্যক্তির হয়ে না যায়। মাথায় রাখতে হবে তাদের আগেও ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে। তাদের সাথেই পাল্লা দিতে হবে। ব্যাংকাররা এখন যার টাকা আছে তাদের কাছে যায়। তেলে মাথায় তেল দেয়। মনে রাখতে হবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ষোল কোটি মানুষের সবার কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট নেই। ধরুন কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে তার বিকাশের জন্য পর্যটন উন্নয়ন ভিত্তিক ব্যাংক স্থাপন করা যেতে পারে। পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে পাবর্ত্য উন্নয়ন ব্যাংক করা যেতে পারে। এভাবে দেশের সম্ভাবনাময় স্থানে যদি জনমুখী ব্যাংক করা যায় তবে নতুন এক ডজন ব্যাংক আসলেও কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু তারা যদি গলায় ফিতা ঝুলিয়ে আবারো আমার আর আপনার কাছেই এফডিআর-এর জন্য আসে তবে ব্যাংকগুলোর ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী। আমেরিকাতে এক স্টেটে যে ব্যাংক আছে অন্য স্টেটে সে ব্যাংক নেই। কিন্তু তাদের মধ্যে অনলাইন কানেকটিভিটি আছে। এমনটা এখানেও দরকার।  

সিভয়েস- ঋণখেলাপী বাড়ার কারন কি? 

প্রফেসর পারভেজ- ঐ যে বললাম ভাইরাস! ভাইরাস ঢুকেছে ব্যাংকিং সিস্টেমে। ২%,৩% ্লেফট রাইট হিসাব করেই তো ক-ুঋণ দেয়া হচ্ছে। তার ফলাফল তো এখন দৃশ্যমান। 

সিভয়েস- বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোন পাচ্ছে কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লোন পাচ্ছেনা। এধরনের লোনবৈষম্য কেন? 

প্রফেসর পারভেজ- দেখুন বিষয়টি হচ্ছে তেলে মাথায় তেল দেওয়া। যা আগেও বলেছি। ব্যাংক ঋণ তিন ধরনের-ক্ষুদ্র,মাঝারী ও বড় ঋণ। প্রতি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০% করে দেয়া উচিত। বাকি ১০% নারীদের জন্য। কিন্তু ব্যাংকগুলো কি করছে নিয়মবহির্ভূত ভাবে শুধু বড় লোন দিচ্ছে। বেসিক ব্যাংকের ৩৫০০ কোটি টাকার ৮০% তো ২২টি পরিবারই শেষ করেছে। এই যেখানে অবস্থা সেখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উঠে আসার সুযোগ কোথায়? তাই যা হবার তাই হচ্ছে। 

সিভয়েস- সবশেষ প্রশ্ন, আপনার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের পট পরিবর্তন কেমন দেখছেন? 

প্রফেসর পারভেজ- দেশের অর্থনীতি অনেকদূর এগিয়ে গেছে। রেমিটেন্স, পোশাকশিল্প,কৃষিখাত, এসডিজি, সময়ের আগেই এমডিজি অর্জন সবমিলিয়ে আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি। কিন্তু এসবের অগ্রগতির মধু নষ্ট করে দিচ্ছে ব্যাংকের পিঁপড়ারা। এসব রুখতে হবে সময় থাকতে। নয়তো আমাদের সকল অর্থনৈতিক অর্জন নষ্ট হবে দ্রæত। সবশেষ একটা কথাই বলবো সুষম ব্যাংকিং প্রথা চালু না হলে বৈষম্যহীন সুষম সমাজ গঠন সম্ভব নয়। 

সিভয়েস- অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। 
প্রফেসর পারভেজ- আপনাকে ও সিভয়েসের সকল পাঠকদেরও ধন্যবাদ।

_-সিভয়েস/কেএম

178

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়