Cvoice24.com


অর্থঋণ আদালত : ৫ ব্যাংকের পৌনে ৮ কোটি টাকার মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ৭ অক্টোবর ২০১৯
অর্থঋণ আদালত :  ৫ ব্যাংকের পৌনে ৮ কোটি টাকার মামলা দায়ের

ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মাত্র তিনদিনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৭ টাকার ২০টি খেলাপি ঋণের মামলা করেছে পাঁচ ব্যাংক।

গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৮টি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইস্টার্ণ ব্যাংক থেকে ৯টি, একইদিন ঢাকা ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংক ১টি করে ও বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পূবালী ব্যাংক থেকে ১টি খেলাপি ঋণের মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে ব্র্যাক ব্যাংকের ৯২ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ টাকার ৮ মামলার মধ্যে চাক্তাই শাখার ১টি, মোমিন রোড শাখার ১টি, আসাদগঞ্জ শাখার ২টি, চন্দ্রঘোনা শাখার ১টি, ইছাখালী শাখার ১টি, পাহাড়তলী শাখার ১টি ও চাঁন্দগাও শাখার ১টি করে মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের চাক্তাই শাখায় মেসার্স জসিম উদ্দিন এন্ড ব্রাদার্স গংয়ের মোট ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৭ টাকা, মোমিন রোড শাখায় ডা. মোছাম্মৎ রোকেয়া চৌধুরী গংয়ের ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯৪ টাকা, আসাদগঞ্জ শাখায় মেসার্স নিশাদ এন্টারপ্রাইজের ১২ লাখ ১ হাজার ৪৫৭ টাকা ও মোহছেন আউলিয়া টিন ফ্যাক্টরী গংয়ের ১২ লাখ ১৪ হাজার ৯২৭ টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের চন্দ্রঘোনা শাখায় এস চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৭ টাকা, চান্দগাঁও শাখায় মেসার্স এ টি এন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গংয়ের ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৬ টাকা এবং ইছাখালী ও পাহাড়তলী শাখায় মেসার্স এন এন্টারপ্রাইজের যথাক্রমে ১১ লাখ ২৪ হাজার ৫২৯ টাকা ও ১১ লাখ ২৪ হাজার ৫২৯ টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।
 
অন্যদিকে ইষ্টার্ণ ব্যাংকের ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৬২ টাকার ৯ মামলাই করেছে নিউমার্কেট শাখা। এর মধ্যে শাখাটিতে মো. মিরাজ গংয়ের ৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৭ টাকা, মো. হাবিব গংয়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৯৪ টাকা, মোহাম্মদ নুরুল আবছার গংয়েল ২ লাখ ৪৬ হাজার ২৪৬ টাকা, প্রগতি টেলিকম এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স গংয়ের ৪ লাখ ২ হাজার ৪৩২ টাকা, এ্যাপারেল পলি এন্ড এক্সেসরিজ গংয়ের ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৯ টাকা, মকবুল ইলেক্ট্রনিক্স গংয়ের ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯২৬ টাকা, মো. শফিকুল আলম শুভ গংয়ের ২ লাখ ২৮ হাজার ৬১৩ টাকা, আসাদুজ্জামান গংয়ের ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৭ টাকা ও মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী গংয়ের ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৪ টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ব্যাংকের হাটহাজারী শাখায় মেসার্স খাজা স্টোর গংয়ের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৪৭২ টাকা, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের জুবলী রোড শাখায় পোর্ট সিটি পলি এন্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৪১ হাজার ২২০ টাকা ও পূবালী ব্যাংকের সিডিএ কর্পোরেট শাখায় মেসার্স আলী স্টোর গংয়ের ৬৮ লাখ ৩ হাজার ৬৪৩ টাকার ঋণ খেলাপি রয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর ব্যাবস্থাপকদের সাথে কথা হলে তারা সিভয়েসকে জানান, বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে তা আর পরিশোধ করেননি। তাদেরকে বেশ কয়েকবার নোটিশ করা হলেও তারা টাকা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেননি। তাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যাংকগুলো আদালতে মামলা করেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের আইনজীবি এডভোকেট শাহাবুদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, প্রতিনিয়তই অর্থঋণ আদালতের খেলাপি ঋণের মামলা হচ্ছে। পুরাতন মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন মামলাগুলোও নিষ্পত্তিতে বিভিন্ন শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এসময় দেশের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় বলে উল্লেখ করেন এ আইনজীবি।

-সিভয়েস/এএফ/এসসি

 

 

ফয়সাল আব্দুল্লাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়