কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
‘সাবধান হয়ে যাও, শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাবধান হয়ে যাও টেন্ডারবাজরা, চাঁদাবাজ আর দুনীতিবাজরা। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এই অ্যাকশন শুধু ঢাকা নয় সারা বাংলাদেশে চলবে’।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সারা দুনিয়া প্রশংসা করেছে অথচ বিএনপি করছে সমালোচনা। বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠাতে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। অপরাধী যত বড়ই হউকনা কেন যতই প্রভাবশালী হউকনা কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজরা সাবধান হয়ে যাও। শেখ হাসিনার এ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এই এ্যাকশন শুধু ঢাকায় নয় সারা বাংলাদেশে চলবে। একটা খারাপ আচরণ দশটা উন্নয়নকে ম্লান করতে পারে। অন্তত আমরা এটা হতে দিতে পারিনা। আমাদের নেত্রী অনেক পরিশ্রম আর সততার মাধ্যমে আজকে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের এই মর্যদা রক্ষার জন্য অপরাধী আামদের দলের হলেও শাস্তি দেবই। এটাই আমাদের সিন্ধান্ত। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশরত্ম শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ তারা সব জায়গায় ব্যর্থ তারা কোথাও সফল হয়নি। তাদের নেতা বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়াচ্ছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সারা দুনিয়া প্রশংসা করছে অথচ বিএনপি সমালোচনা করছে। বিএনপি বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠাতে। রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মিয়ানমারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের মানুষ অনেক কষ্ট স্বীকার করছে। নিরাপত্তা নিয়েও মানুষ উদ্বিগ্ন। আপনাদের কথা দিচ্ছি যেকোন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা আপনাদের সাথে আছেন। আপনাদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোন কিছু করবনা। এই আশ্বাস আমি কক্সাবাজারবাসী, উখিয়াবাসী এবং টেকনাফবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানাতে চাই। তিনি অসুস্থ থাকার পরেও জাতিসংঘে গিয়েছেন বিশ্ব নেতাদের সাথে বৈঠক করে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে। দোয়া করবেন তিনি যেন সফল হন।

এনজিওদের ব্যাপারে বলেন, ‘আমি ঢালাওভাবে কোন এনজিওদের অপবাদ দেবনা। তবে যেসব এনজিও রাজনৈতিক স্বার্থে দাবা খেলার গুটি চালছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠাতে। আমি তাদের অনুরোধ করব সাহায্যের নামে দেশের ক্ষতি করার আপনাদের কোন অধিকার নেই। আমি আপনাদের অনুরোধ করব তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাদের দেশের তারা সম্মানের সাথে ফিরে যাক।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মদ জয় সহ উপজেলা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিপুল নেতাকর্মী।

সিভয়েস/এএস