Cvoice24.com

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্যাবের ক্ষোভ
পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা

প্রকাশিত: ১২:০৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা

পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নেতৃবৃন্দ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ বিভিন্ন দাবিও উপস্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো, সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, ক্যাব, গণমাধ্যম ও চেম্বার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার, জাতীয় ও স্থানীয় ভাবে ব্যবসায়ীদের সাথে জরুরী সভা করে সম্ভাব্য করনীয় নির্ধারন, বিকল্প উৎস থেকে এ সমস্ত পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা ও বিকল্প বাজার হিসাবে টিসিবির মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য বিক্রি জোরদার করা। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করছে। ভারতে দামবৃদ্ধির সাথে সাথে দেশীয় বাজারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ ভারতে দাম কমলে ভোক্তারা তার সুফল পায় না। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অজুহাত, ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে বন্যা হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। 

তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছে, আমদানি কম হওয়ার সুযোগ নিয়ে হিলি বন্দরের পাইকাররা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় যখনই কোন পণ্যের সংকট তৈরী হয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর দোষ চাপান আর খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী ব্যবসায়ীদের উপর দোষ চাপিয়ে জনগনের নাবিশ্বাস তৈরী করেন।’

তাঁরা বলেন, ‘মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম একটি উদ্ভাবনী মডেল চলমান ছিলো। যেখানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন সফল ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করলেও বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মতো অতিজনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় তাঁরা সাধারণ জনগনের দুর্ভোগ লাগবে উদ্যোগ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়গুলি গৌণ হয়ে যাচ্ছে।’

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় সরকারের অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগের সুফল তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারছেনা। অন্যদিকে যে যেভাবে পারে লুটপাট করছে, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন রয়েছে নীরব দর্শক হয়ে। প্রশাসনের নীরবতায় সর্বত্রই মনে হচ্ছে লুটপাটের রাজত্ব।’ 

এসময় বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের নানা সভার সিদ্ধান্ত শোনা গেলেও তার কার্যকারিতা কতটুকু নিরপেক্ষ তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

-সিভয়েস/এএফ/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়