Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


মহসিন কলেজে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার’

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
মহসিন কলেজে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার’

য়ে চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের গ্রন্থাগারে গড়ে উঠা ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার’।

দেয়ালের এক পাশে টাঙ্গানো বর্বর পাকবাহিনীর হিংস্রতার ছোপ, ইটের চাপায় পড়ে থাকা লাশের ছবি বা শুকিয়ে যাওয়া মাথার খুলি, কুকুরে লাশ টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। অন্য পাশে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে স্বাধীনতা যুদ্ধের তিনজন বীরশ্রেষ্ঠ- সিপাহি হামিদুর রহমান, আর্টিফিসার মো. রুহুল আমিন আর মো. মোস্তফা কামাল। তার পাশেই স্বাধীন বাংলার নারী-গেরিলা যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতির দৃশ্য, পাশের অন্য ছবিতে যুদ্ধে মরিয়া বাংলা মায়ের সূর্য সন্তানেরা।

এভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দূর্লভ ২৫ টি ছবি আর প্রায় ৫ শতাধিক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই নিয়ে চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের গ্রন্থাগারে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার’।

বিশেষায়িত গ্রন্থাগারটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৬শে মার্চ। যেখানে সংরক্ষিত রয়েছে মুজিব নগর সরকারের ছবি, জাতীয় চার নেতার ছবি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তকসহ বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার রচিত পুস্তকসমূহ।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের দুই প্রান্তে ২টি থাকের প্রায় ৮০টি খোপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নুরুল কাদির রচিত ’দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা’, আবু সাঈদ রচিত ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’, সুকুমার রায় রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ রাইফেল ও অন্যান্য বাহিনী’, মুনতাসির মামুন রচিত ‘পাকিস্তানের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ’ সহ প্রখ্যাত সব রচয়িতাদের প্রায় ৫ শতাধিক বই।

কলেজ পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক মনোয়ারা বেগম জানান, কলেজের পাঠাগারে বর্তমানে পুস্তক সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার এর মধ্যে আরবি ও ফারসি ভাষায় রচিত দুষ্প্রাপ্য পুস্তকের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এছাড়াও সংগ্রহে রয়েছে দেড়’শ বছর পুরানো সংস্কৃত ভাষার পুস্তক।

নতুন একাডেমিক ভবন-১ এ রয়েছে পাঠাগারের জন্য নির্ধারিত ৪টি কক্ষের মধ্যে ভবনটির ১০৩ তিন নম্বর কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’।

 মো. শাকিল নামে ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষায়িত এ গ্রন্থাগারটি বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ এবং সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে

চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্জন কুমার নন্দী জানান, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষায়িত পাঠাগারটি।

পাঠাগার ভবনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে অধ্যক্ষ অঞ্জন কুমার নন্দী বলেন, কলেজে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর  বিপরীতে ৪টি কক্ষ নির্ধারিত করা হয়েছে। পাঠাগারের জন্য কিন্তু একটি বিশেষায়িত গ্রন্থাগার আসলে এক ধরণের গবেষণা গ্রন্থাগার। এ ধরণের গ্রন্থাগারে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, কোন জাতির তত্ত্বকথা সহ ইত্যাদি বিষয়ে নানা উপকরণ সংগ্রহ এবং গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে ভূমিকা রাখে। এ ধরণের একটি গ্রন্থাগার তৈরীর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট একটি পাঠাগার ভবন ।

সিভয়েস/এএস

আসিফ আহমেদ

সর্বশেষ