Cvoice24.com


ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ পাহাড়ে জেলা প্রশাসনের মাইকিং

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ পাহাড়ে জেলা প্রশাসনের মাইকিং

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাশে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। টানা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পাহাড়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় কার্যক্রমটির তত্বাবধান ও সমন্বয়ে রয়েছেন মহানগরের ছয়টি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ। 
তারা মতিঝর্ণা-বাটালিপাহাড়, ফয়েজ লেক সংলগ্ন ঝিল এলাকা, চান্দগাঁও এলাকাধীন মিয়ার পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড় সংলগ্ন  এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের স্থানীয় মসজিদে মাইকি করে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার আহবান জানান। 

ইতোমধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলরদের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মহানগরীতে ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকবর শাহ এলাকা ও পাহাড়তলি এলাকাধীন পাহাড়গুলোতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে পাহাড়তলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে নির্ধারণ করা হয়েছে।  কৈবল্যধাম, লেকসিটি, ফয়েজ লেক এলাকার ১ নং ঝিল ও ২ নং ঝিল এলাকার জন্য কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্ব কলোনী ও কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেটকে নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া মধুশাহ পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড় এর জন্য চট্টগ্রাম মডেল হাই স্কুল, জালালাবাদ হাউজিং সংলগ্ন পাহাড়ের জন্য জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেড, ট্যাংকির পাহাড়ের জন্য আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসা, মিয়ার পাহাড়ের জন্য রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝর্ণা পাহাড়ের জন্য লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পোড়া কলোনী এলাকার পাহাড়ের জন্য  ছৈয়দাবাদ  স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই দফায় নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে প্রায় ৮০০ টির মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

এসব পাহাড় থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পর ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন পাহাড়গুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল।
 
তবে িপাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরও কোনো অপমৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঘটলে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পাহাড় মালিক ও সংস্থা দায়ী থাকবেন বলে জানানো হয়।

-সিভয়েস/এএফ/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়