Cvoice24.com


পূজার আগমনী বার্তায় ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পূজার আগমনী বার্তায় ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

ছবি: সিভয়েস

শরতের হিমেল বাতাসে মহালয়া জানিয়ে দিয়ে যায় মা দূর্গার আগমনী বার্তা। এ বার্তায় উৎসবের জানান দিয়ে দেবী দূর্গার ভক্তকূল সেজে উঠে নতুন সাজে। দেবী দূর্গা হলো শক্তির রূপ। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে দেবী দূর্গা হলেন ‘দূর্গতনাশিনী’ বা সকল দুঃখ দুর্দশার বিনাশকারিনী।

আর তাই দেবী দূর্গার আগমনীকে স্বাগত জানিয়ে দূর্গা তৈরিতে ব্যস্ত চট্টগ্রামের মৃৎ শিল্পীরা। মন্দিরে মন্দিরে চলছে দেবী দূর্গা তৈরির কাজ। প্রতিবার শরৎতের স্নিগ্ধ সময়েই বাড়তি কাজের চাপ থাকে এসব শিল্পীদের। খড়, বাঁশের কাঠি, সূতলি, পাটের সংমিশ্রনে মাটির প্রলেপ বুনে চলছে দেবী দূর্গার অবয়ব তৈরির কাজ।

সরেজমিনে দেখা মেলে, নগরীর সিআরবি, সদরঘাট, জেম সেন হলসহ সব’কটি মন্দিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পিদের দল। এদের কেউ  নকঁশা তৈরির শিল্পী, কেউ বুনেন মাটির প্রলেপ, আবার কেউবা রং-তুলিতে সাজায় মূর্তি। নির্দিষ্ট সময়েই ভক্তকূলকে পৌঁছে দিতে হবে ‘মূর্তি’। তাই এতো ব্যস্ততা জানালেন সিআরবি সাত রাস্তার মোড়স্থ শ্রী শ্রী ব্রজধাম মন্দিরের কারিগর তুষি রন্জন পাল।

দেব দেবীর প্রকৃতি আর উৎকর্ষতার ভিত্তিতে বানানো হয় সেট। প্রতি সেটে থাকে দূর্গা, লক্ষ্মী, স্বরসতী, কার্তিক আর গণেশ। দেব দেবীর আকার আকৃতি আর নকশাভেদে নির্ধারণ করা হয় দাম। সেট প্রতি দাম শুরু হয় ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে শহর এলাকার বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দাম পড়ে বেশি। কেননা দূরবর্তী অঞ্চলে দেবী-দূর্গার অবয়ব তৈরি করে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এসব অঞ্চলে শিল্পীরা গিয়ে তৈরি করে দেয় মূর্তি, যার দরুণ দামও পড়ে বেশি।

তবে দিন দিন শিল্পীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে জানিয়ে সদরঘাট কালীবাড়ি মন্দিরস্থ দুলাল পাল প্রতিমালয়ের কর্ণধার সুজন পাল জানান, চট্টগ্রামে মৃৎশিল্পী নেই বললেই চলে। এসব কাজে পরিশ্রম বেশি, কিন্তু পারিশ্রমিক কম। এ কারণেই এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক শিল্পী। অন্যদিকে সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন শিল্পী। বর্তমানে যারা এ পেশায় আছেন তারা বংশ পরম্পরায় এ কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ শিল্পী আসেন ফরিদপুর জেলা থেকে। কেননা এ শিল্পের গোড়াপত্তনটা ফরিদপুরেই।

-সিভয়েস/এএ/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়