Cvoice24.com


ট্যাক্স বাড়াতে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের সমন্বিত করার উদ্যোগ চসিকের

প্রকাশিত: ১৫:২২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ট্যাক্স বাড়াতে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের সমন্বিত করার উদ্যোগ চসিকের

কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির।

কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের মধ্যে অনেকেই ভূমি ও  কমিউনিটি সেন্টার দুটিরই মালিক। আবার অনেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসা করছেন। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্স আদায়ের হার বাড়াতে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদেরকে সমন্বিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কর্পোরেশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের মধ্যে যারা ভূমি ভাড়াটিয়া তাদের বক্তব্য ভিন্ন।

তারা বলছেন, কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করবে হোল্ডারদের কাছ থেকে। ভূমি ভাড়াটিয়া কমিউনিটি সেন্টার মালিকরা ট্যাক্সের আওতাভুক্ত নন। তবে ভূমি মালিকদেরকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে উৎসাহিত করতে পারেন তারা।

সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় চসিক কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে সিটি মেয়রের সাথে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে আসে।

এছাড়া সভায় কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসার উন্নয়নে কমিউনিটি সেন্টার মালিকরা সম্মিলিত ভাবে চসিককে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রত্যেক কমিউনিটি সেন্টারে বড় বিন স্থাপন ও কো অর্ডিনেটর টিম দেয়ার জন্য সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের কাছে অনুরোধ জানান। প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মেয়র কমিউনিটি সেন্টার মালিকদেরকে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রত্যেক কমিউনিটি সেন্টারের তথ্য সম্বলিত তালিকা প্রেরণের নির্দেশনা দেন। 

সভায় ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ চসিকের বার্ষিক আয় মাত্র ৫০ কোটি টাকা। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কর্পোরেশন ভর্তুকি দেয় প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। নগরবাসীর ট্যাক্স দিয়ে শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতের ভর্তুকিও মেটানো যায়না। তাছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাসহ প্রশাসনিক ব্যয় হয় প্রায় ২৭০ কোটি টাকা। এত বিশাল ব্যয় ভার কর্পোরেশনের তার অন্যান্য খাতের অনুদান ও আয় দিয়ে নির্বাহ করতে হয়। চট্টগ্রামের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের হার মাত্র ৩৯ শতাংশ। যেখানে ঢাকার আদায় হার ৭২ শতাংশ। এমতাবস্থায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের হার বাড়ানোর আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ট্যাক্স আদায়ে কমিউনিটি সেন্টার মালিকদেরকে সহায়ক শক্তি হিসেবে কর্পোরেশনের সাথে থাকতেই হবে।

চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্যানেল মেয়র ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিইসি কনভেনশন সেন্টারের পরিচালক মো. শামীম, কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতি নেতা মো. সাহাবুদ্দিন, উপদেষ্টা মো. আবদুল লতিফ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ কমিউনিটি সেন্টার মালিকরা তাঁদের মতামত উপস্থাপন করেন।

-সিভয়েস/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়