Cvoice24.com


সাতকানিয়ায় আগুনে ৮ বসতঘর ও ২ দোকান ভস্মীভূত

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সাতকানিয়ায় আগুনে ৮ বসতঘর ও ২ দোকান ভস্মীভূত

সাতকানিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর ও ২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার সময় উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর ব্রাহ্মনডাঙ্গা হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনে সূত্রপাত কোথা থেকে কেউ বলতে না পারলেও গভীর রাতে আগুনের লেলিহান শিখা প্রজ্বলিত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে সকল বসতঘর ও দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। 

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর ও দোকানের মালিকরা হলেন ডা. নারায়ন মজুমদার, কানু মজুমদার, দুলাল মজুমদার, গৌতম মজুমদার, নেপাল মজুমদার, বাদল মজুমদার, মাদব জলদাশ ও স্বপন মহুরী। আগুনে ডা. নারায়নের ৫০ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও তাহার ওষুধের দোকানের মুল্যবান ওষুধ, কানুু সওদাগরের দোকানের আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার মুদি সামগ্রীসহ সকলের সম্পুর্ন বাড়ি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
 
উল্লেখ্য গত শনিবার একই এলাকায় একই সময়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। শনিবার সংঘটিত অগ্নকাণ্ডের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হলেও এ অগ্নিকাণ্ডে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিধায় একাবাসীরা এটা একটি নাশকতা বলে ধারনা করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
  
ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, গভীর রাতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ায় সবাই কোন রকমে প্রাণ নিয়ে রে হয়েছি। কোন কিছু বের করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া গভীর রাতে আগুন নেভানোর মত কোন লোকজনও মিলেনা।
 
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা নারু চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আশপাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নগদ টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল মিলে আনুমানিক ৯০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম অগ্নিকান্ডে কথা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। টিনসেড ও সেমিপাকা বসতঘর ও দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসায়ী এবং গৃহস্থরা সকলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকান্ডের কারণ উদঘাটনের জন্য সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছি। প্রতি পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে ১বস্তা করে চাল প্রদান করেছি।

-সিভয়েস/এএস
 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়