শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করায় ইউটিউবকে ১৪০০ কোটি টাকা জরিমানা

শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করায় বুধবার গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবকে ১৭ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩৪ কোটি টাকারও বেশি।

এ রায়ে শিশুদের জন্য নির্মিত ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সীমিত করতেও বলা হয়েছে।

ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) জানায়, ১৩ বছরের নিচের শিশুদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সম্মতি নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও-শেয়ারিং সাইটটি।

চার মাস আগে বলা হয়, গুগল তথ্য সংগ্রহ সীমিত করবে এবং শিশুদের ভিডিওতে মন্তব্য বন্ধ রাখবে। আবার একই সময়ে ইউটিউব জানায়, এর কারণে তাদের মিডিয়া লাইব্রেরির বিশাল অংশের বিজ্ঞাপন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ইউটিউবকে এই জরিমানা করা হয় ১৯৯৮ সালের চিলড্রেনস অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট বা সিওপিপিএ’র অধীনে। এটি বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বড় ধরনের পদক্ষেপ।

এফটিসি’র চেয়ারম্যান জো সিমনস জানান, সিওপিপিএ’র অধীনে দেওয়া আগের বৃহত্তম জরিমানার চেয়েও ত্রিশ গুণ বেশি অর্থ দিতে হচ্ছে গুগলকে। এই গুরুত্বপূর্ণ রায়টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, কনটেন্ট প্রোভাইডার ও জন সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

এদিকে ইউটিউব জানিয়েছে, বাচ্চাদের উপযোগী ভিডিও চিহ্নিত করতে মেশিন লার্নিং ও ভিডিও নির্মাতারা কাজ করছেন। অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তারা এগুলো চিহ্নিত করেন, যদিও এই ধরনের কনটেন্ট চিহ্নিত করা খানিকটা জটিল। তবে নির্মাতাদের নতুন নিয়মের সঙ্গে সমন্বয় করতে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য বুদ্ধিদীপ্ত ও মৌলিক কনটেন্ট তৈরিতে জোর দেবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এই খাতে ১০ কোটি ডলার তহবিলের ঘোষণা দেয়।

অবশ্য শুধু গুগলই নয়, বর্তমানে আরও বড় কিছু প্ল্যাটফর্ম চাপের মধ্যে রয়েছে। ফেসবুকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে এফটিসি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে শিশুদের গেম কিনতে উদ্বুদ্ধ করছে- এমনটা বলা হয়।

এর আগে ২০১৪ সালে অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই শিশুদের মোবাইল গেম খেলতে দেওয়ায় গুগল ও অ্যাপলকে অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়।

সিভয়েস/এএইচ