Cvoice24.com


টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদ নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদ নিহত

নিহত নূর মোহাম্মদ। 

কক্সবাজারের টেকনাফে আটক রোহিঙ্গা উগ্রপন্থি সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা, সন্ত্রাসী ও ইয়াবা গডফাদার নুর মোহাম্মদকে নিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এসময় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায়  ওসি তদন্তসহ ৩ জন পুলিশ আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার ভোরে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, রোববার ভোর পৌনে ৬ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল আটক মৃত রোহিঙ্গা কালা মিয়ার ছেলে দুধর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদকে (৩৪) নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার অভিযানে যায়।

এসময়  মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের সশস্ত্র সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১), অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হয়।

এরপর পুলিশও আত্মরক্ষার্থে আধ ঘণ্টাব্যাপী ৪০/৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মোস্ট ওয়ান্টেড একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে নিয়ে আস্তানায় অভিযানে গেলে তার বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ ৩জন আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল হতে উপরোক্ত অস্ত্রাদি ও গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা বন্দুকযুদ্ধের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

সিভয়েস/আই

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়