Cvoice24.com


টেকনাফে ‌‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যার সন্দেহভাজন ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯
টেকনাফে ‌‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যার সন্দেহভাজন ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রতীকি ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে  যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডুর সব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ (৩৮) ও একই জেলার রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদুস শুক্কুর (২৫)। তারা দু’জনই টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। যুবলীগ সভাপতি ফারুক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান।

ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই মনসুর, এএস আই জামাল ও কনস্টেবল লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশও পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুর শুক্কুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৯টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসাও উদ্ধার হয়। গুলিবিদ্ধ মুহাম্মদ শাহ ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।

শনিবার ভোরে তাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জাদীমুরা এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ওমর ফারুককে (২৪) তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনার পর যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে জনতা। পরে ফারুক হত্যায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

সিভয়েস/আই


 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়