Cvoice24.com


চুরির দায়ে দুই সহযোগীসহ মালিঙ্গা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২২ আগস্ট ২০১৯
চুরির দায়ে দুই সহযোগীসহ মালিঙ্গা গ্রেফতার

ছবি : সিভয়েস

দিনের বেলা পাগল বেশে ঘুরে বেড়ান, রাত হলেই নেমে পড়েন চুরি করতে। চোখের পলকেই যেকোন উঁচু ভবনে উঠে যাওয়ার কৌশন জানে সে। পাইপ বেয়ে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে অথবা রান্নাঘর বা বাথরুমের এডজাস্ট ফ্যান ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে সারেন চুরির কাজ।

বলছি মালিঙ্গার কথা। না ক্রিকেটার মালিঙ্গা না। এই মালিঙ্গা চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন বগার বিলের মালিঙ্গা। স্থানীয় এক কথিত বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় চুরি করে সে। চুরির পর সেসব মালামাল জমা দেয়া হয় ঐ বড় ভাইকে। শুধু মালিঙ্গাই নয় কৈশোর পার হওয়া একদল তরুণকে দিয়ে শহড়জুড়ে এই চুরির কাজ করান ঐ কথিত 'বড় ভাই'।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে দুই সহযোগীসহ নিউ মার্কেট এলাকা থেকে কোতোয়ালী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে মালিঙ্গা। নিয়মিত চুরি করার কথা স্বীকার করে ও চুরির কৌশল তুলে ধরে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে মালিঙ্গা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান সিভয়েসকে বলেন, নিউমার্কেট এলাকা থেকে চুরির সরঞ্জামাদিসহ মালিঙ্গা ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল।

মালিঙ্গার পুরো নাম আনোয়ার হোসেন মালিঙ্গা (২১)। বাড়ি নোয়াখালী। গ্রেফতার হওয়া অন্য দু’জন হলো- কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মৃত রেনু মিয়ার ছেলে মাছুম আলী (১৯) ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার সরাইল থানার লকুমিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান (১৮)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালিঙ্গা জানিয়েছে, বাকলিয়ার শান্তি নগর বগারবিলের এক 'বড় ভাইয়ের' আশ্রয়ে গত ৩-৪ বছর ধরে চুরি করছে সে। চুরি করে যা পাওয়া যেতো সব কিছুই বড় ভাইকে জমা দিতো। এর জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেয়া হতো তাকে৷ তবে প্রতিরাতে চুরি করে না মালিঙ্গা৷ একটি চুরির পর দুই একদিন বিরতি দিয়েই আবার চুরি করতো সে।

-সিভয়েস/এআরটি/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়