Cvoice24.com


সব কিছু প্রস্তুত, অপেক্ষা প্রত্যাবাসনের

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২২ আগস্ট ২০১৯
সব কিছু প্রস্তুত, অপেক্ষা প্রত্যাবাসনের

আজ বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ ঠিক রয়েছে। প্রত্যাবাসনের জন্য সব ধরনে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। গত দুই দিনে টেকনাফের চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ২৩৫ পরিবারের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে। সেচ্ছাসম্মতিতে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা পরিবারকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে প্রত্যাবাসন করা হবে। সরকারের সকল প্রস্তুতি থাকলেও রোহিঙ্গাদের নানা দাবিতে প্রত্যাবাসন অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সেচ্ছাসম্মতিতে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাবাসন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষনের জন্য মিয়ানমার দুতাবাসের এক কর্মকর্তা ও চিনা দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা কক্সবাজারে অবস্থান করছে।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশনারের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার সরকার ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় অনেকটা তড়িঘড়ি করেই প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এসময় জাতিসংঘ শরণার্থী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা প্রথমে তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের মিয়ানমার সরকারের ফিরিয়ে নেয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়। পরে তাদের সংশ্লিষ্ট সিআইসি অফিসে নিয়ে এসে সাক্ষাতকার বা মতামত নেওয়া হচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফের চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ২৩৫ পরিবারের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) প্রত্যাবাসনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুত রয়েছে সরকারের। সেচ্ছাসম্মতিতে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে প্রত্যাবাসন করা হবে। সেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তা সহ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারের সকল প্রস্তুতি থাকলেও রোহিঙ্গাদের নানা দাবিতে প্রত্যাবাসন অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নানা দাবি জুড়ে দিচ্ছে। তাদের দাবী পূরণ না হলে মিয়ানমারে ফিরে যাবে না বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুরা ও শাল বাগান ক্যাম্প থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের জন্য যাবাহন ও নিরাপত্তা সহ সকল ধরনের প্রস্তুতির কথা জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
প্রত্যাবাসন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষনের জন্য মিয়ানমার দুতাবাসের এক কর্মকর্তা ও চিনা দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা কক্সবাজারে অবস্থান করার কথা জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সেচ্ছাসম্মতি বা সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর এবং সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৮টি দল কাজ করছে। প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাতকার পর্ব চলমান থাকবে। গতবছরের ১৫ নভেম্বর প্রথমদফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ধার্য্য দিন রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে প্রত্যাবাসন করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

সিভয়েস/এএইচ

ওমর ফারুক হিরু, কক্সবাজার

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়