Cvoice24.com


ঈদ শেষে এখনও জমে উঠেনি খাতুনগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২:০০, ১৯ আগস্ট ২০১৯
ঈদ শেষে এখনও জমে উঠেনি খাতুনগঞ্জ

ঈদ শেষ হলেও বন্ধ রয়েছে খাতুনগঞ্জের বেশ কিছু আড়ত। ছবিটি সোমবার সকালে তোলা।

কিছু আড়ত খুললেও, বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু আড়ত। নেই ক্রেতার সমাগম। অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদ শেষ হলেও জমে উঠেনি বেচাকেনা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দেশের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের আড়ত হিসেবে পরিচিত খাতুনগঞ্জ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
 
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা না থাকায় ঈদের আগ থেকেই তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম মন্থর হয়ে পড়েছে। ঈদের বন্ধে এর প্রভাব আরও বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত এমন অবস্থা চলবে বলেও জানান তারা।

ব্যবসায়ী মো. জাবেদ ইকবাল সিভয়েসকে বলেন, রমজানের ঈদের পর থেকে কাঁচা ও শুকনো মসলাসহ বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে কুরবানির পর এসবের বাজার অনেক কমে যায়। চাহিদা কম থাকায় আমদানিও করা হয় কম।

তিনি বলেন, এবার ঈদের ২-৩ দিন আগ থেকেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে ঈদের পর থেকে আদা ও রসুনের দামও অনেক বেড়ে গেছে।

এদিকে বিভিন্ন দোকান ও আড়ত ঘুরে দেখা যায়, শাহ আমানত বাণিজ্য ভান্ডার, মেসার্স আবুল কালাম এন্ড সন্স, আরমান এন্ড ব্রদার্স, অহিদুর রহমান স্টোর, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং সহ এখনো বন্ধ পড়ে আছে বেশ কিছু আড়ত। তবে কিছু আড়ত খুললেও, ক্রেতা না থাকায় অলস বসে আছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের বন্ধের পর আজ থেকে তারা দোকান ও আড়ত খুলেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোন বেচা-বিক্রি নেই তাদের।
 
অন্যদিকে ভোগ্য পণ্যের বাজার দর নির্ধারণ না করায় মিশ্র দাম চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহ নাগাদ পণ্যের বাজার দর নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিভয়েসকে বলেন, ঈদের বন্ধের পর এখনো খাতুনগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হয়নি। বেশ কিছু আড়ত ও দোকান বন্ধ রয়েছে। পণ্যের বাজার দরও নির্ধারিত না।
  
তিনি বলেন, আশা করছি আগামী শনিবার নাগাদ খাতুনগঞ্জের ব্যবসা সচল হবে। এর পরই বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের বাজার দর নির্ধারিত হবে।

-সিভয়েস/এএফ/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়