Cvoice24.com


ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে, অতঃপর রহস্যজনক মৃত্যু!

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ১৭ আগস্ট ২০১৯
ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে, অতঃপর রহস্যজনক মৃত্যু!

ছবি-প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চাঁদপুরের নাসরিনের প্রেমের সম্পর্ক হয় আনোয়ারার বরুমচড়া গ্রামের মনছুর আলমের সাথে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে মাস আগে এক লক্ষ টাকার দেনমোহরে বিবাহ হয় তাদের। তবে বিয়ের মেহেদীর রঙ ফিকে না হতেই রহস্যজনক মৃত্যু হলো নাসরিনের।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নাসরিন আকতার রিয়া (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নাসরিন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের মো. আবুল হাশেম মুন্সির মেয়ে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ১৫ বছর পূর্বে নাসরিনের সাথে বরিশাল জেলার দৌলদী থানার নওপাড়া বাহাদুর এলাকার মো. রফিকের সাথে বিবাহ হয়। ঘরে নাসরিনের দুই কন্যা এক ছেলে রয়েছে। অভাব অনটনের কারণে দুই বছর পূর্বে নাসরিন সৌদি আরবে চাকরির উদ্দ্যেশে চলে যায়। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্পর্ক হয় আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের মনছুর আলমের সাথে। মাস আগে নাসরিন দেশে ফিরে মনছুরের বাড়িতে এসে এক লক্ষ টাকার দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। 

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মনছুর (২৮) তার মা বাচু আকতার (৫৫) নাসরিনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফোন করে বিষয়টি থানায় জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই আকরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নাসরিনের লাশ উদ্ধার করে। এসময় স্বামী শাশুড়ির কথা বার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্বামী মনছুর আলম তার মা বাচু আকতারকে আটক করে পুলিশ।

মনছুর আলমের মা বাচু আকতার বলেন, আমার ছেলের সাথে ফেসবুকে নাসরিনের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়। গত শুক্রবার বিকালে আমি নাসরিনকে তার রুমে ডাকতে গেলে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ছেলেকে জানাই। পরে তার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার তাকে দেখে মৃত বলে জানিয়েছেন।

নাসরিন আকতারের বাবা আবুল হাশেম মুন্সি মুঠোফোনে জানান, পনের বছর আগে বরিশালের মো. রফিকুল ইসলামের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সে সৌদি আরবে চাকরি করতে চলে যায়। পরে দেশে ফিরে এসে মনছুরের সঙ্গে বিয়ে হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে আমার মেয়ে নাসরিন বলে, ‘বাবা আমাকে বাঁচাও এরপর থেকে ওই নম্বরে হাজার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ  পাওয়া যায়। আজ (শনিবার) সকালে আনোয়ারা থানা পুলিশ ফোন করে জানায়, আমার মেয়ে মারা গেছে। এখন আমরা চট্টগ্রামের আনোয়ারার পথে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহামুদ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি নাসরিন আকতার রিয়া নামে একটি মেয়ে মারা গেছে। পরে আমরা লাশটি উদ্ধার করি। ওই সময় পুলিশের কাছে স্বামী শাশুড়ির কথা বার্তা সন্দেহজনক মনে হলে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

-সিভয়েস/এসএ

আনোয়ারা প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়