Cvoice24.com


২৭ লাখ টাকার ফার্নেস অয়েল গায়েবের চেষ্টা!

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৭ আগস্ট ২০১৯
২৭ লাখ টাকার ফার্নেস অয়েল গায়েবের চেষ্টা!

ফাইল ছবি

জাহাজ থেকে খালাসের পর প্রায় ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল অন্যত্র সরিয়ে বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছে কয়েকটি চক্র। সরকারি হিসাবে যার মূল্য প্রায় ২৭ লাখ টাকা। গত ১০ আগস্ট (শনিবার) রাষ্ট্রীয় তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েলের পতেঙ্গা গুপ্তখাল প্রধান ডিপোতে এমন ঘটনা ঘটে। তবে জাহাজ থেকে অতিরিক্ত তেল ডিপোর ট্যাংকে খালাস করতে পারলেও বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে চক্রগুলো।

পরে ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও যমুনা অয়েল কোম্পানি। পাশাপাশি বিপিসি থেকে যমুনার ওই ডিপোতে সকল ধরণের তেল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

বিপিসির গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিতে উর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন) মো. আবু হানিফকে প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন) মো. জাহিদ হোসেনকে সদস্য করা হয়। এছাড়া যমুনা অয়েলের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ওই কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (অডিট) মোহাম্মদ খসরু আজাদকে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অডিট ম্যানেজার মো. হেলাল উদ্দিন ও উপ-ব্যবস্থাপক আবুল মনছুর।

এ বিষয়ে বিপিসির অপারেশন ও পরিকল্পনা পরিচালক সৈয়দ মেহদী হাসান জানান, বিপিসি থেকে যমুনা অয়েল ডিপোর অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর যমুনার ওই ডিপোতে তেল চুরির ঘটনা ঘটে। ওইসময় এমটি রাইদা ও এমটি মনোয়ারা নামে দুটি জাহাজে অতিরিক্ত ডিজেল ভর্তি করে পাচার করা হয়। এর মধ্যে এমটি রাইদায় ৫০ হাজার ৯০০ লিটার ও এমটি মনোয়ারায় ১ লক্ষ ৭৮২ লিটার ডিজেল ভর্তি করে পাচার করা হয়। এ ঘটনায় যমুনা অয়েলের পাঁচ কর্মকর্তা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে তাদের কাছ থেকে পাচার হওয়া সব ডিজেলের মূল্য পরিশোধ করার শাস্তি প্রদান করা হয়।

সিভয়েস/এএফ/আই
 

সিভয়েস প্রতিবেদক  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়