Cvoice24.com


স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত 

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৪ আগস্ট ২০১৯
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত 

প্রতীকি ছবি

ঈদের আগের দিন রাতে বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায়  দুই ধর্ষক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।  

নিহতরা হলো-সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)। তারা দুজনই ওই শিশু গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি ছিলেন।
আজ বুধবার ভোররাতে এই 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এর আগে ঈদের আগের দিন (রোববার) রাতে ভোলার সদর উপজেলায় ওই শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়।  তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুরে নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে যায পুলিশ। এ সময় আসামিরা উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা রয়েছে।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য যায় শিশুটি। এ সময় ওই প্রতিবেশীর ভাড়াটে আল আমিন শিশুটিকে ‘কথা আছে’ বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার বন্ধু মঞ্জু। স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অবস্থার অবনতি ঘটলে গত সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শেবাচিমে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।  

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গতকাল রাতে ভোলার রাজাপুর এলাকায় দুদল জলদস্যুর মধ্যে গোলাগুলি চলছিল। এ সময় পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল স্থানীয় জনতা বাজারে। খবর পেয়ে পুলিশের টহলদলটি নদীর পাড়ে পৌঁছালে তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে পিছু হটে পালিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে সেখান থেকে পুলিশ দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ দুটি আল আমিন ও মঞ্জুর আলমের বলে শনাক্ত করা হয়।

এ ছাড়া একটি বন্দুক ও বেশ কিছু ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার।

সরকার মোহাম্মদ কায়সার আরো বলেন, লাশ দুটো কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। পরে ধর্ষিতার  বাবা সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে নিশ্চিত করেন তারা দুজনই তার মেয়ের ধর্ষণকারী। ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গ এলাকায় নিহতদের কোনো স্বজন পাওয়া যায়নি। তারা দুজনই মাদক, ধর্ষণ ও জলদস্যুতা মামলার আসামি বলে পুলিশ সুপার জানান।

সিভয়েস/আই

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়