‘কেউ কিনছে গরু, কেউ কিনছে দড়ি’
ছবি-প্রতিনিধি
কোরবানি পশুর রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই কোরবানি পশু ক্রয় করেন শেষ সময়ে। আর এ সময়ে পশু ক্রয়ে কেউ কেউ লাভবান হয় আর কেউ বা ঠকেন। মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়, অমুকের পশুটা ভাল হয়েছে, সে জিতেছে। আর অমুকের গরুটা মূল্য বেশি হয়েছে, সে ঠকেছে। অনেককে এরকমও বলতে শোনা যায়- ‘কেউ কিনছে গরু আর কেউ কিনছে দড়ি’।
কোরবানি পশু ক্রয় বিক্রয়ের এ শেষ সময়ে উপজেলার সর্বত্রই এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলছে কোরবানি পশু নিয়ে আলোচনা ও মূল্য নিয়ে হিসাব কষাকষি। কাউকে কোরবানি পশু নিয়ে যেতে দেখলেই জিজ্ঞেস করছে, দাম কত হয়েছে? উত্তর দিতে দিতে রীতিমত হাঁপিয়ে উঠেন গরু ক্রেতা।
এ বিষয়ে গরু ক্রেতা মোহাম্মদ আরিফ বলেন, দাম কত হয়েছে উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি, আর পারছিনা।
এদিকে, বৃষ্টি বাদলে গরু রাখার ঝামেলা এড়াতে শেষ সময়ে বাজারে গরু কিনতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
উপজেলার পাড়া মহল্লায় সর্বত্রই কোরবানি পশু দেখা মিলছে। বাড়ির উঠানে, দোকানের সামনে কিংবা পুকুর পাড়ে গরু বেঁধে রেখেছেন। কেউ কেউ দুর্চিন্তায় পড়েছেন বৃষ্টি শুরু হলে গরু কোথায় রাখবেন। অনেকেই আবার গো-খাদ্যের বন্দোবস্ত করতেই ব্যস্ত। এক কথায় উপজেলাজুড়ে বইছে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ।
-সিভয়েস/এসএ
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি