Cvoice24.com


ব্যাপক কদর বেড়েছে গাছের গুঁড়ির, বিক্রি জমজমাট

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৯ আগস্ট ২০১৯
ব্যাপক কদর বেড়েছে গাছের গুঁড়ির, বিক্রি জমজমাট

ছবি : সিভয়েস

কোরবানি পশুর মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামাদির পাশাপাশি কদর বেড়েছে গাছের গুঁড়ির। হাটে-বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে মাংস কাটার অন্যতম এই সরঞ্জাম।

কোরবানি ঈদে আলাদা কদর বেড়ে যায় এই গাছের গুঁড়ির। এটি তৈরিতে তেঁতুল গাছের কাঠকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ অন্য কাঠের তুলনায় তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি দা-ছুরির আঘাতে নষ্ট হয় না। তাই তেঁতুল গাছের গুঁড়ির চাহিদা ব্যাপক। ক্রেতারা কেনার আগে তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কিনা দেখেশুনে কিনেন। অন্য গাছের গুঁড়ির তুলনায় তেঁতুল গাছের গুঁড়ির দামও বেশি। বিক্রেতারাও তেঁতুল গাছের গুঁড়ি হাঁক ডাক করেই বিক্রি করেন। 

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা যায়, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত গুঁড়ি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন স্থায়ী দোকানদারের পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান খুলে বসেছে। থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন এসব কাঠের গুঁড়ি। বিশেষ করে বিভিন্ন ফার্ণিচার দোকান ও গাছের দোকানে গুঁড়ি বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ে।

নাজিরহাট, বিবিরহাট, আজাদীবাজার, নানুপুরসহ বিভিন্নস্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যেখানে গরুর বাজার তার আশে পাশে বসে গুঁড়ি বিক্রি করছেন। আর এসব গুঁড়ি কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। প্রতিটি গাছের গুঁড়ি ১০০- ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

শুধু গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার নয়, নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জংশনে মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামের পাশাপাশি গাছে গুঁড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

গাছের গুঁড়ি কিনতে আসা আলী নেওয়াজ বলেন, অনেক সময় ঝামেলার মধ্যে ভুলে গিয়ে গুঁড়ি কেনা হয়না। মাংস কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। লাখ টাকার গরু কিনে সামান্য টাকার গুঁড়ি কতটা প্রয়োজন তখন বুঝা যায়। তাই মনে থাকতে থাকতে আগেবাগে কিনতে আসলাম।

ফার্ণিচার ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ জাফর বলেন, অন্যান্য সময় কেউ অর্ডার দিলে তৈরি করে দিই গাছের গুঁড়ি। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি করে তৈরি করে রাখি। কারণ এ সময় চাহিদা বেড়ে যায়। তবে তেঁতুল গাছের গুঁড়িই মাংস কাটার জন্য উপযোগী। কারণ তেঁতুল গাছের গুঁড়ি অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত।

-সিভয়েস/এসএ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়