Cvoice24.com


অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না জেনুয়ারা বেগমের

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২৩ জুলাই ২০১৯
অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না জেনুয়ারা বেগমের

প্রতীকি ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ গৃহবধূর নাম জেনুয়ারা বেগম (১৯)। তিনি উজানটিয়া ইউনিয়নের বাইন্যাপাড়া এলাকার আবুল কালামের মেয়ে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে এ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশশাশুড়ি আর স্বামীর নির্যাতনে জেনুয়ারা মারা গেছে বলে দাবি করছেন তার মা ছকিনা বেগম। কিন্তু স্বামী রিদুয়ানের পরিবারের দাবী, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে জেনুয়ারা বেগম।
দুই বছর আগে জেনুয়ারায় বিয়ে হয় একই এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে ও অমিরাত প্রবাসী মো. রিদুয়ানের সঙ্গে।

জেনুয়ারা বেগমের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের দুইমাস পরে স্বামী রিদুয়ান বিদেশে পাড়ি জমান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শাশুড়ি ছকিনা বেগম বিভিন্ন তার উপর নির্যাতন চালাতো। এ খবরে প্রবাসী স্বামী মো. রিদুয়ান জানতে পেরে দেশে ফিরে আসেন। এরই মাঝে স্ত্রী জেনুয়ারা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সাথে সংসার করার মনস্থির করেন। বিষয়টি তার স্বামীও জানতেন। গৃহবধূ জেনুয়ারা আশা করেছিলেন স্বামীর কাছে অন্তত সহানুভূতি পাবেন। কিন্তু না। স্বামী রিদুয়ানও তার মায়ের সাথে যোগ দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে।

পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক সুমন সরকার বলেন, উভয় পরিবারের সদস্য, তাদের প্রতিবেশী ও প্রাথমিক সুরতহালে মনে হচ্ছে গৃহবধূ জেনুয়ারা আত্মহত্যা করেছে। তারপরেও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী রিদুয়ান ও তার মা সাদিয়া বেগমকে থানার আনা হয়েছে। 

জেনুয়ারার পিতার আবুল কালাম বলেন, বিয়ের সময় পাত্রের পরিবার আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক আদায় করে। সম্প্রতি ফের ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করছিল তারা। এতে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো আমার মেয়েকে তারা ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।

গৃহবধূর খালা সাবেকুন নাহার বলেন, আমাদের মেয়ে বিয়ের পর থেকে অশান্তিতে ছিল। তার উপর নির্যাতন চালাতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। প্রথম সন্তানের মুখ না দেখেই তাকে পরপারে পাড়ি জমাতে হল। 

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সিভয়েস/আই

পেকুয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়